দুবাই প্রবেশে বাংলাদেশি যাত্রীদের নতুন নির্দেশনা
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব এড়াতে বাংলাদেশিদের জন্য আবারও কড়া নিরাপত্তা নির্দেশিকা জারি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শহর দুবাই।
যাত্রীদের জন্য নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসকারী (রেসিডেন্ট), পর্যটক ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মধ্যে যারা বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাবেন তাদের প্লেনে ওঠার সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা আগে কোভিড-১৯ পিসিআর টেস্টের জন্য নমুনা দিয়ে কোভিড-নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। আগে এই সময় ৯৬ ঘণ্টা বা ৪ দিন ছিল।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) দেওয়া এক চিঠিতে দুবাই এসব বিষয় জানিয়েছে। যা রোববার (৩১ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর করেছে দুবাই সরকার।
নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশি যাত্রীদের দুবাই বিমানবন্দরে নেমে আবারও কোভিড-১৯ পিসিআর পরীক্ষা করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দুবাইয়ে প্রবেশ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও দুবাই বিমানবন্দর বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ট্রানজিট যাত্রীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। তবে কোনো বাংলাদেশি যদি বিশেষ অনুমতি নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে চান, সেক্ষেত্রে তাকেও অন্যান্য যাত্রীদের মতো কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ইউএই নাগরিকদের উদ্দেশে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইউএই নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ থেকে করোনা টেস্ট করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে দুবাই বিমানবন্দরে তাদের একবার করোনা টেস্ট হবে। দুবাই যেতে ইচ্ছুক সবাইকে ‘কোভিড ১৯ ডেএক্সবি স্মার্ট অ্যাপ’ (COVID 19 DXB Smart App) ডাউনলোড করে তথ্য আপডেট করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে দুইবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হওয়া কোনো যাত্রী যদি ১৪ দিনের মধ্যে নাইজেরিয়ায় ভ্রমণ করে থাকেন, তবে তাকে কোনোভাবেই দুবাইয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
গত ৬ জুলাই থেকে রেসিডেন্সি ভিসাধারী ও ৭ জুলাই থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় দুবাই। প্রথম থেকেই সবার জন্য একবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ছিল। তবে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের জন্য দুবাই নতুন নিয়ম জারি করে।
অন্য দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও নেপাল। এসব দেশের সফর ও পর্যটক ভিসাধারীদের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রবেশের জন্য অবশ্যই বৈধ ফিরতি টিকিট রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। কোনো যাত্রীর ফিরতি টিকিট না থাকলে তাকে নিজ নিজ দেশে ফেরতও পাঠিয়েছে দুবাই।
এআর/জেডএস