দেশের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মের অনুসন্ধিৎসু মনকে কাজে লাগাতে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার (১ ফেব্রুয়ারি) ভার্চুয়াল বিডিবিও-সমকাল বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান উৎসব-২০২১ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জ আরও অনেক বড়। জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, আবাদী জমিও কমছে জনসংখ্যার চাপে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ উন্নত ফলনের ধানের জাত এনে দেবে, যা বন্যার পরেও একইভাবে ফলন দিয়ে যাবে কিংবা দেশেই করোনার মতো নতুন সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করবে।

বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর উদ্ভিদের প্রাণ এবং গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্যের পিঁপড়া, মৌমাছি, মাকড়সার গবেষণার বিষয় তুলে ধরেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, জগদীশ চন্দ্র বসু উদ্ভিদের প্রাণ থাকার বিষয়টি জানিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকে। আমাদেরই বাঙালি বিজ্ঞানী গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য সেই উনিশ শতকের চল্লিশের দশকে পিঁপড়া, মৌমাছি, মাকড়সার ওপর গবেষণা করে বিশ্বকে এমন সব পর্যবেক্ষণ উপহার দিয়েছেন, যা দেখতে এসে বেলজিয়ামের বিজ্ঞানীও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মোমেন বলেন, একাত্তরে মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের যে দেশ গড়ার প্রত্যয় দিয়েছেন। সেই চেতনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি।

বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার গুরত্ব তুলে ধরে মোমেন জানান, আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ। আমাদের জমি তেমন বাড়েনি, কিন্তু আমাদের কৃষিবিদ, জীববিজ্ঞানীরা গবেষণা করে উৎপাদন বাড়িয়েছেন, সহনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন।

এনআই/এসএম