রঙ ও পানি মিশিয়ে তৈরি হতো ভেজাল মদ
ভেজাল মদের কারখানায় অভিযান
রাজধানীতে ভেজাল মদের কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। নির্দিষ্ট তথ্য ভিত্তিতে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) গুলশান বিভাগ সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভাটারা এলাকায় এ অভিযান চালায়। এ সময় ভেজাল মদ তৈরির মূলহোতাসহ হাতেনাতে ছয় জনকে আটক করা হয়।
তথ্য নিশ্চিত করে ডিএমপি গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার কে এম হাফিজ আক্তার জানিয়েছেন, চক্রটি রঙ ও পানি মিশিয়ে ভেজাল মদ তৈরি করে রাজধানীসহ এর আশপাশের এলাকায় বিক্রি করত। তারা প্রতি সপ্তাহে ২৩১টি বোতল মদ সরবরাহ করত।
বিজ্ঞাপন
ডিবি প্রধান বলেন, ‘গত কয়েকদিনে বিদেশি মদপান করে ঢাকার বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। এসব ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু বিদেশি মদপানে এমন হওয়ার কথা না। ধারণা করি ভেজাল মদে এমন ঘটনা ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, খবর আসে যে একটি চক্র বিদেশি মদ সরবরাহ করে আসছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভাটারা থানাধীন খিলবাড়ীর টেক মুক্তি পল্লী ইউনিয়ন পরিষদ রোডের বেস্ট ফিউচার স্কুলের কাছে একটি ভেজাল মদের কারখানায় অভিযান চালায় ডিবি গুলশান টিম ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, অভিযানের সময় দেখা যায় দুটি ঘিঞ্জি ঘরে পুরনো বিদেশি মদের বোতলে ভেজাল মদ ভরার কাজ চলছে। ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে ছয়জনকে আটক করা হয়।
কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, চক্রটি স্পিরিট, চিনি, রং ও পানি মিশিয়ে বিদেশি বোতলে ভরে মদ তৈরি করছিল। এক সপ্তাহে তারা ২৩১ বোতল তৈরি ভেজাল মদ রাজধানীসহ ঢাকার আশেপাশে বিক্রি করেছে।
এদিকে, মদপানে রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের এক শিক্ষার্থী ও তার এক বন্ধুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যদিও এ ঘটনায় শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ও রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ফোরথট পিআর (পাবলিক রিলেশন্স) নামক এজেন্সির দুই কর্মীরও মদপানের পর বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের আরও কয়েকজন মদপান করে বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছেন।
এমএসি/এমএইচএস