কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। 

মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিবেদনে যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ প্রতিস্থাপন করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি। তাছাড়া অভিযুক্ত যে ব্যক্তির কথা বলা হচ্ছিল, সংবাদমাধ্যমটি তাকে সাইকোপ্যাথ হিসেবে বর্ণনা করেছে।  

এমন সাইকোপ্যাথ বা মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষের কথায় সংবাদমাধ্যমটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তথা সংবাদটি প্রকাশ করার মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের মিত্রদের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে করা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রচার প্রত্যাখ্যান করেছে ঢাকা।

আল জাজিরার প্রকাশিত সংবাদে ব্যবহৃত ছবি

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াত ইসলামীর পৃষ্ঠপোষকরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছিল, যাদের মধ্যে আল জাজিরা অন্যতম। মূলত জামায়াত ইসলামীর দণ্ডিত বা অপরাধীরা এসব ষড়যন্ত্রে সাহায্য করছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকারের প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরোধিতা করে আসছে জামায়াত ইসলামী। সেই বিরোধিতার অংশ হিসেবে তাদের চরমপন্থীরা রাজনৈতিকভাবে ঘোলাটে পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রচারণা। এই প্রতিবেদন তারই একটি অংশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালে হওয়া গণহত্যার বিষয়টি আনা হয়নি। অথচ জামায়াতের অপরাধীরা লাখো বাঙালিকে হত্যা করেছে, দুই লাখেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ করেছে।

সংবাদমাধ্যমটির ভাষ্যকার প্রসঙ্গে বিবিৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের নিহতের সংখ্যা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা বার্গম্যানকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দোষী সাব্যস্ত করেছে। মূলত এটি বার্গম্যানের রাজনৈতিক পক্ষপাতের বিষয় ছাড়া আর কিছুই না।

এনআই/জেডএস