খাদ্য নিরাপত্তায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে ব্রি

খাদ্য নিরাপত্তা ও এ বিষয়ে গবেষণা নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। পাশাপাশি বিশ্বের মধ্যে ১৬তম স্থানে রয়েছে দেশের ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে পরপর দুবার দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হলো ব্রি।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লডার ইনস্টিটিউটের পরিচালনায় গ্লোবাল থিঙ্ক ট্যাঙ্কস ২০২০ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। সারাবিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন ৬৮টি গবেষণা ও নীতি নির্ধারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পরিচালনা করা হয় এ জরিপ। বিশ্বে ১৭শ ৯৬টিরও বেশি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, একাডেমি, সরকারি ও বেসরকারি দাতাপ্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে এই গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়।

একই তালিকায় ভারতের ইন্টারন্যাশনাল ক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর সেমি এরিড ট্রপিক (আইসিআরআইএসএটি) ২৯তম, বাংলাদেশের সিপিডির অবস্থান একই বিভাগে ৩৫তম এবং ফিলিপাইনে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) ২৯তম স্থানে রয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের থিঙ্ক ট্যাঙ্কস অ্যান্ড সিভিল সোসাইটি প্রোগ্রাম (টিটিসিএসপি) এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে।

পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লডার ইনস্টিটিউটের থিংক ট্যাঙ্কস এবং সিভিল সোসাইটি প্রোগ্রাম (টিটিসিএসপি) বিশ্বব্যাপী সরকার এবং নাগরিক নীতিমালা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে। 

২০০৬ সালে সূচকটি চালু হওয়ার পরে গ্লোবাল থিঙ্ক ট্যাঙ্কস সূচক বা জিজিটিটিআইয়ের ১৫তম গবেষণা প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ব্রি-সহ ৪৬টি থিঙ্ক ট্যাংক রয়েছে, যারা খাদ্য ও এ বিষয়ে নীতি প্রণয়ন নিয়ে কাজ করে। 

জিজিটিটিআই ইনডেক্সে ২০২০ সালে ১৮টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বব্যাপী ১৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে শীর্ষস্থানীয় থিংক ট্যাঙ্কস হিসেবে নির্বাচন করা হয়। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্রি ৬৮টি খাদ্য সুরক্ষা ও নীতি গবেষণা সংস্থার মধ্যে ১৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে।

কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও অনুকরণীয় অবদান রাখছে ব্রি। ২০১৯ সালে ব্রি স্পেনভিত্তিক অনলাইন তথ্যভাণ্ডার ‘র‌্যাংকিং ওয়েব অব ওয়ার্ল্ড রিসার্চ সেন্টার’-এর মূল্যায়ন অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানে ছিল বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ঊর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা কৃষিবিদ এম আব্দুল মোমিন ঢাকা পোস্টকে জানান, দেশে ধানের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে ব্রি। আধুনিক ও উপযোগী বিভিন্ন জাত উন্নয়নসহ বিভিন্ন গবেষণাধর্মী কাজের মাধ্যমে বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছেছে ব্রি।

একে/এইচকে