বিএনপিকে প্রত্যাখ্যানের প্রমাণ নির্বাচনের রায় দিচ্ছে মানুষ
উন্নয়নের কথা না বলে শুধু সরকারের সমালোচনা করায় মানুষ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যানের রায় বিভিন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আমির হোসেন আমু।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশন শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, আজকে তারা এ দেশের উন্নয়ন দেখে না, বিশ্ব যেখানে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে। আমার দেশের বন্ধুরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল তারাই আজকে দল গঠন করে তাদের সঙ্গে জোট নির্মাণ করে, তাদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে আজকে একই কায়দায় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ৯৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় এলাম, আওয়ামী লীগ কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি সেদিন করে নাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেদিন আমরা বিজয় মিছিল পর্যন্ত করিনি। তাদের গায়ে একটা ফুলের টোকা পর্যন্ত দেই নাই। একমাত্র ২০০১ সালে শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন এ দেশে। তারা ক্ষমতায় আসার পর আমরা কি দেখলাম? তারা ভুলে গেল আমাদের আচার- আচরণ। সেই পাকিস্তানি কায়দায় আমাদের ৩৩ হাজার লোক হত্যা করল।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আজকে যখন তারা গণতন্ত্রের নামাবলি গায়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, আজকে যখন তারা এ সমস্ত কথা বলে। আজকে উন্নয়নের কথা না বলে শুধু সমালোচনা করে তখন মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করাই স্বাভাবিক। আজকে বুঝতাম তারা যদি বলতো পদ্মা ব্রিজ হয়েছে, অভিনন্দন জানাই। কিন্তু তারপরে দুর্নীতির কথা বলতো। অভিনন্দন জানায় না, পদ্মা ব্রিজ হয়েছে এ কথাটাও বলে না। শুধু বলে দুর্নীতির কথা। অথচ এ পদ্মা ব্রিজের দুর্নীতি নিয়ে পিছু হঠেছিল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। কানাডার কোর্ট পদ্মা ব্রিজের দুর্নীতির মামলা খারিজ করে দিয়েছে। কানাডার কোর্টে পদ্মা ব্রিজের দুর্নীতি প্রমাণ হয় নাই, তারপরও তারা এ সমস্ত কথা বলে বেড়াচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, যারা এই দেশে রাজনীতি করতে চান, তাদের দেশের মনোভাবাপন্ন হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মনোভাবাপন্ন হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নিয়ে তাদের রাজনীতির ময়দানে আসতে হবে। আজকে তাদের অপকর্ম ধাপাচাপা দেওয়ার জন্য উদোর পিন্ডি বুদোর গাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার মতো নানা গল্প সাজিয়ে রাজনৈতিক ময়দান গরম করতে চান। এ দেশের মানুষ আজকে সেগুলি ভুলে যায়নি, ভুলতে পারে না।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক বলেন, আমাদের দেশের নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মধ্য দিয়ে সঠিক ইতিহাস যেমনি জানছেন, এ দেশের অভূত্থান, উন্নয়ন যেভাবে জানতে পারছেন আজকে তার জন্য তাদের আঁতে ঘা লাগছে বলেই তারা চিৎকার করছেন। এ চিৎকারের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। আজকে মানুষ সজাগ এবং সচেতন। তার প্রমাণ বিভিন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ রায় দিয়ে দিচ্ছে।
এইউএ/এসএম