কানাডায় বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কঠোরভাবে অবস্থানে কানাডা সরকার। তারপরও বিভিন্ন প্রদেশে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সরকারের দেওয়া দিক নির্দেশনার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক কর্মসূচিতে নাগরিকদের টিকা দেওয়াও শুরু হয়েছে।
এদিকে, বিদেশ থেকে কানাডায় আসা যাত্রীদের তিনদিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন কবে থেকে শুরু হবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এটি কার্যকর করার প্রস্তুতি চলছে বলে কানাডার পরিবহন মন্ত্রী ওমর আলঘাবরা। তিনি বৃহস্পতিবার থেকে আসা বিদেশিদের কোয়ারেন্টাইনের মুখোমুখি হবার প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার সিবিসি টেলিভিশনের ‘রোজম্যারি বার্টন লাইভ’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী তিনি বলেন, বিমানবন্দরে কোভিড টেস্ট এবং কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি কিভাবে বাস্তবায়িত হবে সেটি হেলথ কানাডা দেখভাল করছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে।
তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্তটি কবে থেকে কার্যকর হবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে আমার পক্ষে বলা কঠিন। কারণ এটি ঠিক করছে হেলথ কানাডা। তবে আমি সবাইকে যেকোনো মুহূর্তের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিবো।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, নতুন স্ট্রেইনের কোভিডের সংক্রমণ রোধ করতে দেশটির সরকার টরেন্টো, মন্ট্রিয়ল, ভ্যঅঙ্কুভার এবং ক্যালগেরি- কেবল এ চারটি বিমানবন্দরে সকল আন্তর্জাতিক বিমান উঠানামার জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট করতে হবে এবং ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকতে জনপ্রতি ২ হাজার ডলারের বেশি ব্যয় হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ ব্যয় যাত্রী নিজেরাই বহন করবে।
মন্ত্রী জানান, আগত বিদেশিদের কোভিড টেস্টের ফলাফল পজিটিভ হলে সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজ খরচে হোটেলেই থাকতে হবে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮৯ জন। মারা গেছেন ২০ হাজার ১৩৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১১ হাজার ৭০৮ জন।
এমএইচএস