ওয়াসার বর্তমান সিস্টেমে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, আমাদের কোনো কিছুই গোপনীয় নয়। ঢাকা ওয়াসার কেউ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষাভাবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়।
তিনি বলেন, সামান্য দুর্নীতি হলেও তা সহ্য করা হয় না। এটা বলতে পারি, আমাদের যে সিস্টেম রয়েছে তাতে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের এন্টি করাপশন ইউনিট রয়েছে। তারা ক্যাম্পিংও করছে। অনেকে শাস্তিও পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১০ জানুয়ারি) ওয়াসা ভবনে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুরা) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তাকসিম এ খান বলেন, আমরা রিসার্স এবং উন্নয়নে অনেক টাকা ব্যয় করি এবং করছি। এতে আমরা অনেক সফলও হয়েছি। যে কারণে ঢাকা ওয়াসা এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে রোল মডেল। নেপাল তাদের পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ওয়াসা থেকে টিম নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, এক সময় পানির জন্য কলসি মিছিল হতো। সেনাবাহিনী দিয়ে পাম্প পাহারা দেওয়া লাগতো। এখন এসব নেই। সবার ঘরে ঘরে পানি পৌঁছে যাচ্ছে। আমরা সব সিস্টেম ডিজিটাল করেছি। কোনো ঠিকাদার বিলের জন্য আসতে হয় না। পেনশনের জন্যও কাউকে আর দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ওয়াসা ভবনে আসা লাগে না। সব বিল ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। আমাদের ওয়াসার কোনো কাজে চেকের কোনো ব্যবহার নেই।
ওয়াসা এমডি বলেন, আমরা ঢাকা শহরের মানুষের জন্য পানি ব্যবস্থার শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারবো এবং সে অবস্থায় পৌঁছে গেছি।সব সময় চেষ্টা করেছি গণমুখী, পরিবেশবান্ধব ও টেকশই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে। আমাদের দক্ষতা, সক্ষমতা এবং একাগ্রতায় এই তিনটি জিনিস থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও চান চেইন ম্যানেজমেন্ট। আমরা পরিবর্তন করতে কাজ করছি।
তাকসিম এ খান আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে গতানুগতিক কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে এসে একটি পরিবর্তন আনা। আমরা একে ডিজিটাল করতে চাই এবং করতে পেরেছি। প্রায় সব কাজ এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে। যা করতে পেরেছি তা অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও করতে পারেনি।
ওয়াসা এমডি আরও বলেন, আমরা ঢাকা শহরের মানুষের জন্য পানি ব্যবস্থার শতভাগ নিশ্চিয়তা দিতে পারবো। সে রকম অবস্থায় এসেছি। এখন মেজর কোনো সমস্যা নেই। কিছু মাইনর সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে আপনাদের সবার সহযোগিতা দরকার।
সভায় ঢাকা ওয়াসার পরিচালক (কারিগরি) একেএম সহিদ উদ্দিন বলেন, আমাদের অনেক কিছুর প্রচার নেই। আমাদের অনেক ভালো কাজ রয়েছে। সেবা সহজীকরণ করতে আমরা নাগরিকদের জন্য হটলাইন নম্বর চালু করেছি। যেখানে যে কোনো অভিযোগ করা যাচ্ছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের চেষ্টা করি।
পানির দুর্গন্ধ বিষয়ে তিনি বলেন, শীতকালে শীতলক্ষার পানি একেবারেই আলকাতরার মতো কালো হয়ে যায়। সেই পানিকে শোধন করে আমরা বিশুদ্ধ করে সরবরাহ করে থাকি। সেই দূষণের দায় দায়িত্ব তো আমাদের না। তার পরেও আমরা চেষ্টা করি একে ট্রিটমেন্ট দিয়ে বিশুদ্ধ করতে। আগে এমোনিয়া বেশি আসতো। এখন আমরা কিছু গাছ লাগিয়ে প্রাকৃতিকভাবে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করেছি।
ডুরা সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, হাসিব মাহমুদ শাহ, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়শ্রী ভাদুড়ী, অর্থ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলয় মামুন, প্রচার ও দফতর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বারেক হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, রফিকুল ইসলাম রনি, সদস্য সাদ্দাম হোসাইন, আবির হাকিম প্রমুখ।
এএসএস/এসএম