আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে মার্কিন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ড. মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাতে যান মার্কিন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। এ সময় এ কথা বলেন মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ড. মোমেন রাষ্ট্রদূত মিলারকে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পাশাপাশি সদ্য অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে ব্রিফ করেন। তিনি জানান, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে এবং ভোটারের সংখ্যাও বেশি ছিল।

মোমেন-মিলার সাক্ষাতে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজনসহ এ বিষয়ে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত জানান, যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়।

তারা দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করেন। বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তার উত্তরসূরি তথা পরবর্তী রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে অবদান রাখবেন।

উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে, ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আগামী মাসে ধারাবাহিক সংলাপ ও সফর বিনিময় হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে তার মেয়াদে বাংলাদেশে সক্রিয় কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা সহায়তার পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন মোমেন।

ড. মোমেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলে উপকূলীয় বাঁধ পুনরুদ্ধার এবং আরও উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করার মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, ঢাকায় তার কর্মজীবনের সেরা সময়। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

এ সময় রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুধুমাত্র মানবিক সহায়তার মাধ্যমে নয়, প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য তার দেশের হয়ে জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

এদিকে ড. মোমেনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে এক টুইট বার্তায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী বৈঠকে আমরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব, মানবাধিকার ও আইনের শাসনে গুরুত্বসহ উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা সংকটের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেছি।

এনআই/এসকেডি