করোনায় আরও ৭ জনের মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ১৮২ জনে। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৫ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জনে।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন করে ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হয়েছেন ৫০৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮২ হাজার ৪২৪ জন।
বিজ্ঞাপন
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৪১১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৬৬টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৩টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ১ হাজার ৭০৫টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় করা হয়েছে আট লাখ ২২ হাজার ৭৬৮টি।
মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ জন এবং নারী ৩ জন। তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ২০০ জন, বাকি এক হাজার ৯৮২ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের বেশি ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ জন রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
টিকাদান পরিকল্পনায় পরিবর্তন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণ টিকাদান পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথম মাসের লক্ষ্যমাত্রা ৬০ লাখ থেকে কমিয়ে ৩৫ লাখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে টিকা বিতরণ সম্পর্কিত একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।’
টিকার জন্য নিবন্ধন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের টিকা নিতে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেড় লাখ মানুষ নিবন্ধিত হয়েছেন। যারা নিবন্ধন করতে পারবে না তাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা সহযোগিতা করবে। এছাড়াও সারাদেশের গ্রামে-গঞ্জে টিকা নিবন্ধনের জন্য মাইকিং, জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধকরাসহ গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জোরলো প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ৭০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে, পর্যায়ক্রমে সব দেওয়া হবে। ক্রয় করা তিন কোটি টিকা এ বছর দেওয়া হবে, এছাড়া কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে। পৃথিবীর অনেক দেশ যেখানে করোনার ভ্যাকসিন আনতে পারেনি, সেখানে আমরা নিয়ে আসতে পেরেছি।