ছবি : সংগৃহীত

কয়েকদিন আগে পুরোনো এমআরপি পাসপোর্ট নবায়ন করতে গেছেন আমার পরিচিত একজন। এখন ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। তিনি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন। সেই আবেদনে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রের যে নম্বর দিয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়া সেটা স্মার্টকার্ডের। এর আগের পাসপোর্টে তার পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ছিল।

আবেদন করার দুই সপ্তাহ পর উত্তরা পাসপোর্ট অফিস তাকে ডাকা হলো স্মার্টকার্ড আর পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যাচাই করার জন্য। তিনি গেলেন। তাকে পাঁচতলা থেকে দোতলা পর্যন্ত তিনটি কক্ষে যেতে হলো। একজন কর্মকর্তা তাকে বলেন, তিন তলার ওই কক্ষে যান। সেই কক্ষ থেকে বলা হলো, এখানে আসার আগে আরও দোতলার কক্ষ হয়ে আসতে হবে। দোতলায় গেলে তাকে বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে স্মার্টকার্ডের একটা প্রিন্ট দেওয়া হলো।

সেই প্রিন্ট কপি আবার তিন তলার কর্মকর্তা স্বাক্ষর করলেন। এরপর আবার পাঁচতলার কর্মকর্তা সেই প্রিন্ট কপি ফেরত দিয়ে বললেন, এবার আপনার আবেদন ‘অ্যাকটিভ’ হয়েছে। এখন প্রসেস শুরু হবে। আপনি যান এবং পরবর্তী এসএমএস-এর জন্য অপেক্ষা করুন। আমার পরিচিত জন দশদিন ধরে সেই এসএমএস-এর জন্য অপেক্ষা করছেন। ডিজিটাল যুগে এসেও দ্রুত ডেলিভারির জন্য মোটা টাকা ফি দিয়ে এই এক মাসেও পাসপোর্টটি নবায়ন করতে পারেননি!

আরও পড়ুন : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার : বন্ধ করায় কি সমাধান?

সরকার ঘোষণা দিয়েছে এখন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা অনলাইনেই এমএসএফ সেবা ব্যবহার করে দেওয়া যাবে। আমার আর একজন পরিচিত মানুষ সেই ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অনলাইনে খাজনা দিতে বসলেন। কিন্তু প্রতিবারই জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-এর সময় একটি মেসেজ কম্পিউটারের পর্দায় ভেসে ওঠে, সার্ভারে ত্রুটিজনিত কারণে এখন সেবাটি দেওয়া যাচ্ছে না, পরে চেষ্টা করুন।’

পরপর সাতদিন চেষ্টা করেও অনলাইনে খাজনা দিতে পারলেন না। প্রতিবারই একই মেসেজ। অতএব তিনি গাজীপুরে ভূমি অফিসে গিয়ে লম্বা লাইনে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে খাজনা দিয়ে এলেন। 

উপরের দু’টি ঘটনা খেয়াল করলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে আসে। সরকারি সেবার ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা আদৌ কি কাজ করছে? স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে ২০১৭ সালের শুরুতে। তখন স্মার্টকার্ড দেওয়ার সময় পুরোনো কার্ড নাগরিকদের সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। তখন নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল, পুরোনো কার্ড ফুটো করা হয়েছে এটা বোঝানোর জন্য যে আপনি স্মার্টকার্ড হাতে পেয়েছেন। কিন্তু পুরোনো নম্বরও থাকবে।

স্মার্টকার্ডের নতুন নম্বর এবং পুরোনো নম্বর দুটোই জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত দুটো নম্বরই উপযুক্ত বিবেচিত হবে। এজন্য পুরোনো জাতীয় পরিচত্রপত্রও স্ব স্ব নাগরিককে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এখনো পর্যন্ত পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল ঘোষণা করেনি। বরং ডিজিটাল ব্যবস্থায় পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের সঙ্গে স্মার্টকার্ডের নম্বরটি সার্ভারে সমন্বিত হবে।

সার্ভারে পুরোনো নম্বর দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই স্মার্টকার্ডের নতুন নম্বরটি সামনে আসবে এবং খুব সহজেই যাচাই হয়ে যাবে। এখানে পুরোনো নম্বরের সঙ্গে স্মার্টকার্ডের নম্বর মেলানোর জন্য কেন একজন গ্রাহককে কেন পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে?

আরও পড়ুন : সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস কীভাবে ছড়ায়?

জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ তো কোনো সাধারণ নাগরিকের কাছে নেই। নির্বাচন কমিশন এবং পাসপোর্ট অফিসের রাশভারী কর্তারাই সেটা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশের আলোর ভেতরে এই কর্তাবাবুরা কেন সেই সহজ কাজটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে না করে এখনো প্রিন্ট কপির ওপর নির্ভর করে জটিল করে তুলছেন এবং নাগরিক হয়রানি বাড়াচ্ছেন?

ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট নবায়নের জন্য কোনো নাগরিকের তো পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ারই দরকারই নেই। নবায়নের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগে না। একজন নাগরিককে আগে পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তিনি সেই পাসপোর্ট নিয়ে একাধিক দেশে ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছেন। তার পাসপোর্ট নবায়ন করতে এই ডিজিটাল যুগে কেন একমাস লাগবে?

কেন তাকে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে কক্ষ থেকে কক্ষে ছুটতে হবে! চাইলে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় খুব সহজে অনলাইনে আবেদন নেওয়া সম্ভব। তারপর তাকে একটি ই-মেইল এবং মোবাইল এসএমএস-এর মাধ্যমে একটি রেফারেন্স নম্বরসহ আবেদনের বিষয়ে অবহিত করা যায় এবং কতদিনের মধ্যে ডেলিভারি পাবেন তা জানানো যায়।

যদি কেউ নবায়ন করা পাসপোর্টে নিজের ছবি নতুন করে তুলতে চান তাকেই কেবল মাত্র ছবি তোলার জন্য ডাকা হতে পারে। অবশ্য ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় তারও প্রয়োজন হয় না। এখন যে ব্যাংগুলোতে পাসপোর্টের আবেদন ফি জমা নেওয়া হয় সেখানেই একটি ডিজিটাল কাউন্টার থাকবে। টাকা নেওয়ার সময়ই আবেদনকারীর ছবি তোলা হবে।

টাকা জমা নেওয়ার রশিদ এবং তার ছবি একসঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের সার্ভারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আবেদনকারীর কাছে এই সংক্রান্ত বার্তার একটি নিশ্চিতকরণ তথ্য এসএমএস কিংবা ই-মেইলে যাবে। তাহলে পাসপোর্ট অফিসে ছবি তোলার ছোট্ট কক্ষের সামনে দীর্ঘ লাইনও পড়বে না।

আরও পড়ুন : সাইবার বুলিংয়ের শিকার শিশু থেকে তারকা : সমাধান কোথায়? 

এমনকি আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানায় তার পাসপোর্টের নিরাপদ ডেলিভারি করাও ডিজিটাল যুগে জটিল কোনো কাজ নয়। ডেলিভারির সময় আবেদনকারী প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি যাওয়া এবং সেটি সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভেরিফাই করা এখন খুবই জনপ্রিয় এবং সহজ পদ্ধতি।

ই-কমার্স, অনলাইন শপিং এবং ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে বিশ্বে কোটি কোটি টাকার নিরাপদ লেনদেন হচ্ছে এই ওটিপি’র (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) মাধ্যমে। দু’একটি ক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেটা যেকোনো ব্যবস্থাপনাতেই ঘটতে পারে। সেটার তদারক করার জন্যই তো কর্তৃপক্ষ, কর্মকর্তারা।

কোথাও ব্যত্যয় ঘটলে, কেউ জালিয়াতির চেষ্টা করলে তাকে সুনির্দিষ্ট করে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা তারা না করতে পারলে কর্তাদেরই আগে জবাবদিহি করতে হবে, বিভাগীয় ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে। এর জন্য ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালু না করে সাধারণ মানুষকে গণহারে হয়রানি করা কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

প্রশ্ন উঠতে পারে, পাসপোর্ট সংবেদনশীল বিষয়। এটা নিয়ে জালিয়াতি হতে পারে। গলাকাটা পাসপোর্টের ভূতের আছর এখনো আছে, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি। অতএব ব্যাংকে ছবি তোলা কিংবা নাগরিকের বর্তমান ঠিকানায় পাঠানোর বিষয়টি নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে!

এবার আমার প্রশ্ন হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট, গলাকাটা পাসপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গে কারা যুক্ত? প্রথমত রোহিঙ্গারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে কীভাবে? কারা দিচ্ছে? রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার স্থানীয় রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাবশালীরাই অনৈতিক ব্যবসায় জড়িয়ে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ব্যবস্থা করছেন।

পরবর্তী ধাপে এদের পাসপোর্ট পেতে হলে তো পাসপোর্ট অফিসের কর্তাদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া তা সম্ভব নয়! ২০০৮ সালে এত ডিজিটাল প্রযুক্তি ছিল না। কিন্তু সেই সময় কিছুদিনের জন্য পাসপোর্ট অফিসে ওয়ান স্টপ সেন্টার চালু করা হয়েছিল। ব্যাংকে ফি জমা দেওয়ার পর একটা বুথেই দাঁড়িয়ে আপনি আবেদন জমা দেবেন। আপনাকে অফিসের ভেতরে যেতে হবে না।

আরও পড়ুন : মুঠোফোনে আসক্তি বাড়ার কারণ কী? 

যে বুথে দাঁড়িয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন, সেখান থেকেই নির্দিষ্ট তারিখে গিয়ে পাসপোর্ট ডেলিভারি নেবেন। নবায়নের ক্ষেত্রে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়ার ঘটনা কেবলমাত্র সেই সময়ই ঘটেছে। কিছুদিনের জন্য দালালচক্রও হাওয়া হয়ে গিয়েছিল। ডিজিটাল যুগে এসে সেই ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুতে বাধা কোথায়? 

পাসপোর্ট একজন নাগরিকের জন্মগত অধিকার। একই সঙ্গে দেশের সবচেয়ে উচ্চ মূল্যের নাগরিক সেবা। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের এই পর্যায়ে এসেও পাসপোর্টের মতো উচ্চমূল্যের সেবাকে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এমনকি ই-পাসপোর্টও সেই সনাতনী পদ্ধতিতেই দেওয়া হচ্ছে। এটা খুবই লজ্জাজনক।

দ্রুত ডেলিভারির জন্য অতিরিক্ত টাকা নিয়ে একমাস পর পাসপোর্ট ডেলিভারির তারিখ দেওয়া সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে নির্লজ্জ প্রতারণা। অথচ ডিজিটাল সব অবকাঠামো বর্তমান সরকার করে দিয়েছে। সেই অবকাঠামো ব্যবহার করে নাগরিক সেবায় ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালু না করার ব্যর্থতা অবশ্যই আমলাতন্ত্রের।

অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্র বন্ধ হওয়া এবং অহেতুক কর্তৃত্ব প্রয়োগের সুযোগ রাখতেই কি আমলাতান্ত্রিক কাঠামো ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টা সফল করতে দেওয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্নটি খুব যৌক্তিকভাবেই উঠছে।

ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় কত বড় কাজ কত সহজে করা যায় তার উদাহরণ আমাদের দেশেই আছে। কোভিড-১৯ মহামারির ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য সুরক্ষা অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টাল ব্যবস্থাপনা সরকারি পর্যায়ে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় বড় সাফল্যের উদাহরণ। এর কারণ ছিল এই সুরক্ষা অ্যাপ ও পোর্টালের ব্যবস্থাপনা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে সু-সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়া। কারণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান কাজ হচ্ছে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও সার্বক্ষণিক তদারকি নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন : পাবজি : অনলাইন গেইমের রীতিনীতি ও অর্থনীতি 

কাজটি তাদের দায়িত্বে ছিল এবং সফলভাবেই তারা করতে পেরেছে। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ টিকা সংগ্রহ এবং টিকা দেওয়া তারা সেই কাজই করেছে। যদি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ টিকা দেওয়ার কাজটি করতো কিংবা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনার কাজ করতো তাহলেই কিন্তু বিপর্যয় হতো।

উপজেলায় এলসিডি স্ক্রিন বসানো, ট্রান্সমিশন লাইন বসানো, বিল্ডিং বানানো কিংবা স্কুলে স্কুলে ল্যাপটপ আর কম্পিউটার কেনার প্রকল্প নেওয়া তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কাজ নয়। প্রচারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় আছে, ট্রান্সমিশন সেবার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ বিটিসিএলসহ বেসরকারি এনটিটিএন কোম্পানি আছে, স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার কেনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় আছে।

অন্য মন্ত্রণালয়ের জন্য ডিভাইস বা যন্ত্রপাতি কেনা তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ কিংবা কম্পিউটার কাউন্সিলের কাজ নয়। তাদের কাজটি হচ্ছে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, সহায়তা ও তদারকি নিশ্চিত করা। যেটা তারা সুরক্ষা অ্যাপ ও  পোর্টালের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফলভাবে করতে পেরেছে।

সেই সাফল্যের উদাহরণ সামনে রেখেই পাসপোর্ট অফিস এবং ভূমি অফিসের মতো নাগরিক সেবার অফিসগুলোর প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগকে দেওয়া জরুরি। তাহলে নাগরিক সেবায় ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালুর ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে সাফল্য আসবে, নাগরিক হয়রানিও কমবে।

রাশেদ মেহেদী ।। সাংবাদিক