করোনার ভয়াল আগ্রাসনে আক্রান্ত গোটা পৃথিবী। যদিও বাংলাদেশ সরকার করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গঠনমূলক ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে এতটা প্রবল বেগে ধেয়ে আসবে তা হয়তো কেউই উপলব্ধি করতে পারেনি। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও হয়তো এতটা আঁচ করতে পারেনি বিধায় চরম মূল্য গুনতে হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলের মধ্য দিয়ে।

এতকিছুর পরও একটা বিষয় কিন্তু লক্ষণীয়, করোনাক্রান্ত প্রায় সকল রোগীই যারা হাসপাতালের আশ্রয় নিয়েছেন, তার প্রায় বেশিরভাগই কেন জানি আর জীবিত ফিরে আসছেন না। তার কারণ অনেকের কাছেই হয়তো অনুভূত হয়নি বা কারো মনোজগতে কোনো রেখাপাত করেনি বলেই আমার ধারণা। কিন্তু কেন জানি আমার মধ্যে এক ধরনের অনুসন্ধিৎসু বা বিশ্লেষণাত্তক চিন্তার উদ্রেক ঘটেছে।

করোনার প্রথম ঢেউ থেকে শুরু করে দ্বিতীয় ঢেউয়ের তীব্র আক্রমণের সময় পর্যন্ত, যত করোনা পজিটিভ রোগী বিশেষ করে যারা স্বাভাবিক চলার মতো অবস্থায় ছিলেন এবং ঐ অবস্থায় কিছুটা শ্বাসকষ্ট অনুভব করছিলেন এই রকম যত রোগীই হাসপাতালে গিয়েছেন তার প্রায় বেশিরভাগ রোগীই কোনো না কোনোভাবে গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় সংকটাপন্ন।

একটি বিষয় খুবই লক্ষণীয় এবং সর্বজনীনভাবে সারা পৃথিবীজুড়েই স্বীকৃত যে, এখনো পর্যন্ত করোনার যথাযথ স্বীকৃত কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি কোনো চিকিৎসক বা হাসপাতাল বা কোনো বিজ্ঞানী আবিষ্কার করতে সক্ষম হননি। যা কিছুই হচ্ছে তা মূলত পরীক্ষামূলক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং পরিশেষে ভ্যাকসিন বা টিকা।

যদিও ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন দেশ তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের গুণগত মান সম্পর্কে নিজেদের ভালো বলে জাহির করছে। যদিও সকল আবিষ্কৃত টিকাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত।

এত চড়াই-উৎরাই পার হয়েও করোনা আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মৃত্যু আমার কাছে মনে হয় বাসায় অবস্থানরত আক্রান্ত রোগীর চাইতে অনেক বেশি। মাঝে মাঝেই অবচেতন মনে ধারণা পোষণ হয় করোনা আক্রান্ত রোগীদের বেলায় চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তথা ডাক্তার, নার্স, অথবা আইসিইউ কক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট স্পেশালিষ্ট বা বিশেষজ্ঞদের আন্তরিকতা বা অবহেলা অথবা কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা পদ্ধতির যথেষ্ট দক্ষতার অভাব আদৌ দায়ী কি না তা বিচার বিশ্লেষণ করার যৌক্তিকতা আছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল ধারণা করতেই পারেন। কেননা, কোভিড-১৯ এমনই এক ভাইরাস যার নিরাময় পদ্ধতি এখনো পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বের কোথাও সঠিকভাবে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।

এই অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষইবা কতটুকু সম্ভাব্য চিকিৎসা প্রদান করে নিরাময় করতে পারবে। এছাড়াও একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর বেলায় সকল ভ্যারিয়েন্ট নির্বিশেষে এর প্রধান প্রধান লক্ষণ সমূহ যা দেখা যায়, তা হলো- জ্বর, শরীর ব্যথা, সর্দি, কফ, হাত-পায়ে তীব্র ব্যথা, পাতলা পায়খানা এবং অতঃপর শ্বাস-কষ্ট।

এখনো পর্যন্ত করোনার যথাযথ স্বীকৃত কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি কোনো চিকিৎসক বা হাসপাতাল বা কোনো বিজ্ঞানী আবিষ্কার করতে সক্ষম হননি।

লক্ষণ থাকা অবস্থায় একজন করোনা রোগী স্বাভাবিকভাবেই তার শারীরিক শক্তি ও সামর্থ্য এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে পারে, ঠিক সেই সময়েই একজন রোগীর জীবন বাঁচানোর তীব্র প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আইসিইউ/এইচডিইউতে স্থানান্তর করে অক্সিজেন প্রয়োগের চাপ বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট সম্ভাব্য জটিলতা বহন করা বা হজম করার স্বাভাবিক শারীরিক সক্ষমতা আদৌ আছে কি না তাও বিবেচনায় নেওয়ার যৌক্তিক দাবি রাখে বলে অনেকেই মনে করেন।

কেননা, অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে অথবা পরবর্তীতে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যা সর্বজন বিদিত। এই ক্ষেত্রেও, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দরুণ সৃষ্ট শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার কারণে রোগীর শারীরিক অবস্থা আরও বেশি জটিল আকার ধারণ করে কি না তাও বিবেচনায় রাখতে হবে। যদিও আমাদের দেশের প্রথিতযশা ডাক্তাররা, বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরা আন্তরিক চেষ্টা ও মেধার মাধ্যমে এই ভয়াবহ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যারপরনাই চেষ্টার কোনো ত্রুটি করছেন না।

এছাড়াও বিশ্বখ্যাত সায়েন্স জার্নাল ল্যানসেট এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ভয়াবহ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ পদ্ধতি অর্থাৎ ঘরে বসে স্যানিটাইজ করে, মাস্ক পরে, দূরত্ব বজায় রেখে এই মহামারি নিঃশেষ করা সম্ভব নয়। বরং খোলা জায়গায় যেখানে বাতাস চলাচল বেশি হয় সেখানে এই ভাইরাসের বিস্তার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সেই জন্য ঘরে আবদ্ধ জায়গায় যেখানে জীবাণুর ঘনত্ব অনেক বেশি সেখান থেকে বের হয়ে মুক্ত হাওয়ায় ভ্যাকসিন নিয়ে জীবনযাত্রা চালিয়ে নিতে হবে।

পরিশেষে বলতে হয়, করোনা মোকাবিলায় সবাইকে এর প্রতিরোধ যুদ্ধের পেছনে না হেঁটে তার আগে দৌড়াতে হবে, বুকে অদম্য সাহস ও শক্তি নিয়ে এবং তার সাথে সাথে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে। কোনোভাবেই, কোনো অবস্থাতেই ভীত হওয়া যাবে না, নিরাশ হওয়া যাবে না।

মনে রাখতে হবে, পৃথিবীতে কোনো বিপদই চিরস্থায়ী নয়, প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে সবকিছুই একদিন সুখী, সুন্দর ও অনাবিল আনন্দ ঐশ্বর্যে পৃথিবীকে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।

করোনার ভয়াল আগ্রাসনে আক্রান্ত গোটা পৃথিবী। যদিও বাংলাদেশ সরকার করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গঠনমূলক ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে এতটা প্রবল বেগে ধেয়ে আসবে তা হয়তো কেউই উপলব্ধি করতে পারেনি। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও হয়তো এতটা আঁচ করতে পারেনি বিধায় চরম মূল্য গুনতে হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলের মধ্য দিয়ে।

করোনা মোকাবিলায় সবাইকে এর প্রতিরোধ যুদ্ধের পেছনে না হেঁটে তার আগে দৌড়াতে হবে, বুকে অদম্য সাহস ও শক্তি নিয়ে এবং তার সাথে সাথে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

এতকিছুর পরও একটা বিষয় কিন্তু লক্ষণীয়, করোনাক্রান্ত প্রায় সকল রোগীই যারা হাসপাতালের আশ্রয় নিয়েছেন, তার প্রায় বেশিরভাগই কেন জানি আর জীবিত ফিরে আসছেন না। তার কারণ অনেকের কাছেই হয়তো অনুভূত হয়নি বা কারো মনোজগতে কোনো রেখাপাত করেনি বলেই আমার ধারণা। কিন্তু কেন জানি আমার মধ্যে এক ধরনের অনুসন্ধিৎসু বা বিশ্লেষণাত্তক চিন্তার উদ্রেক ঘটেছে।

করোনার প্রথম ঢেউ থেকে শুরু করে দ্বিতীয় ঢেউয়ের তীব্র আক্রমণের সময় পর্যন্ত, যত করোনা পজিটিভ রোগী বিশেষ করে যারা স্বাভাবিক চলার মতো অবস্থায় ছিলেন এবং ঐ অবস্থায় কিছুটা শ্বাসকষ্ট অনুভব করছিলেন এই রকম যত রোগীই হাসপাতালে গিয়েছেন তার প্রায় বেশিরভাগ রোগীই কোনো না কোনোভাবে গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় সংকটাপন্ন।

একটি বিষয় খুবই লক্ষণীয় এবং সর্বজনীনভাবে সারা পৃথিবীজুড়েই স্বীকৃত যে, এখনো পর্যন্ত করোনার যথাযথ স্বীকৃত কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি কোনো চিকিৎসক বা হাসপাতাল বা কোনো বিজ্ঞানী আবিষ্কার করতে সক্ষম হননি। যা কিছুই হচ্ছে তা মূলত পরীক্ষামূলক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং পরিশেষে ভ্যাকসিন বা টিকা।

যদিও ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন দেশ তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের গুণগত মান সম্পর্কে নিজেদের ভালো বলে জাহির করছে। যদিও সকল আবিষ্কৃত টিকাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত।

এত চড়াই-উৎরাই পার হয়েও করোনা আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মৃত্যু আমার কাছে মনে হয় বাসায় অবস্থানরত আক্রান্ত রোগীর চাইতে অনেক বেশি। মাঝে মাঝেই অবচেতন মনে ধারণা পোষণ হয় করোনা আক্রান্ত রোগীদের বেলায় চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তথা ডাক্তার, নার্স, অথবা আইসিইউ কক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট স্পেশালিষ্ট বা বিশেষজ্ঞদের আন্তরিকতা বা অবহেলা অথবা কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা পদ্ধতির যথেষ্ট দক্ষতার অভাব আদৌ দায়ী কি না তা বিচার বিশ্লেষণ করার যৌক্তিকতা আছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল ধারণা করতেই পারেন। কেননা, কোভিড-১৯ এমনই এক ভাইরাস যার নিরাময় পদ্ধতি এখনো পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বের কোথাও সঠিকভাবে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।

এই অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষইবা কতটুকু সম্ভাব্য চিকিৎসা প্রদান করে নিরাময় করতে পারবে। এছাড়াও একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর বেলায় সকল ভ্যারিয়েন্ট নির্বিশেষে এর প্রধান প্রধান লক্ষণ সমূহ যা দেখা যায়, তা হলো- জ্বর, শরীর ব্যথা, সর্দি, কফ, হাত-পায়ে তীব্র ব্যথা, পাতলা পায়খানা এবং অতঃপর শ্বাস-কষ্ট।

লক্ষণ থাকা অবস্থায় একজন করোনা রোগী স্বাভাবিকভাবেই তার শারীরিক শক্তি ও সামর্থ্য এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে পারে, ঠিক সেই সময়েই একজন রোগীর জীবন বাঁচানোর তীব্র প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আইসিইউ/এইচডিইউতে স্থানান্তর করে অক্সিজেন প্রয়োগের চাপ বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট সম্ভাব্য জটিলতা বহন করা বা হজম করার স্বাভাবিক শারীরিক সক্ষমতা আদৌ আছে কি না তাও বিবেচনায় নেওয়ার যৌক্তিক দাবি রাখে বলে অনেকেই মনে করেন।

কেননা, অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে অথবা পরবর্তীতে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যা সর্বজন বিদিত। এই ক্ষেত্রেও, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দরুণ সৃষ্ট শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার কারণে রোগীর শারীরিক অবস্থা আরও বেশি জটিল আকার ধারণ করে কি না তাও বিবেচনায় রাখতে হবে। যদিও আমাদের দেশের প্রথিতযশা ডাক্তাররা, বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরা আন্তরিক চেষ্টা ও মেধার মাধ্যমে এই ভয়াবহ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যারপরনাই চেষ্টার কোনো ত্রুটি করছেন না।

এছাড়াও বিশ্বখ্যাত সায়েন্স জার্নাল ল্যানসেট এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ভয়াবহ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ পদ্ধতি অর্থাৎ ঘরে বসে স্যানিটাইজ করে, মাস্ক পরে, দূরত্ব বজায় রেখে এই মহামারি নিঃশেষ করা সম্ভব নয়। বরং খোলা জায়গায় যেখানে বাতাস চলাচল বেশি হয় সেখানে এই ভাইরাসের বিস্তার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সেই জন্য ঘরে আবদ্ধ জায়গায় যেখানে জীবাণুর ঘনত্ব অনেক বেশি সেখান থেকে বের হয়ে মুক্ত হাওয়ায় ভ্যাকসিন নিয়ে জীবনযাত্রা চালিয়ে নিতে হবে।

পরিশেষে বলতে হয়, করোনা মোকাবিলায় সবাইকে এর প্রতিরোধ যুদ্ধের পেছনে না হেঁটে তার আগে দৌড়াতে হবে, বুকে অদম্য সাহস ও শক্তি নিয়ে এবং তার সাথে সাথে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে। কোনোভাবেই, কোনো অবস্থাতেই ভীত হওয়া যাবে না, নিরাশ হওয়া যাবে না।

মনে রাখতে হবে, পৃথিবীতে কোনো বিপদই চিরস্থায়ী নয়, প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে সবকিছুই একদিন সুখী, সুন্দর ও অনাবিল আনন্দ ঐশ্বর্যে পৃথিবীকে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।

মো. নাসিম ইসলাম রাজু ।। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ