প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণ গত ১২ বছরের ব্যাপক উন্নয়ন ও অর্জনের বস্তুনিষ্ঠ দলিল। ভাষণে জণগণের প্রাত্যহিক জীবন থেকে উঠে আসা বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে বলে জানিছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের ওপর বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সময়োপযোগী ও দিকনির্দেশনামূলক ছিল। গত এক যুগে আর্থসামাজিক ও অন্যান্য খাতে দেশের অভাবনীয় উন্নয়নসহ মানুষের জীবনমানের ক্ষেত্রে যে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত চিত্র ফুটে উঠেছে এই ভাষণে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখাও প্রস্ফুটিত হয়েছে। 

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে মাথাপিছু আয় যেখানে মাত্র ৬২৫ ডলার ছিল এখন তা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে। দারিদ্র্যের হার এখন ৪১.৫ থেকে ২০ শতাংশে ও অতি দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আমলে বিদ্যুতের উৎপাদন ছিলে মাত্র ৩ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট। 

তিনি বলেন, জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি এখন মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তারা সরকারের উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনে সরকারের সব খাত আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল। তারা টানা পাঁচ বার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের কালিমা লেপে দেয়েছিল দেশের ললাটে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ আর বিএনপির অপশাসনের মৃত্যু উপত্যকায় ফিরে যেতে চায় না। বিএনপি করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও মিথ্যাচার করছে, তারা এর আগেও অপপ্রচার করছে। করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাই সত্য, আমরা সেটা বাস্তবে প্রমাণ করে দেখাব।

এইউএ/ওএফ