হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতা দখল করতে চায় বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দলটির দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জনগণ জানে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পবিত্র সংবিধানকে হত্যা করেই বিএনপির জন্ম হয়েছিল। বিএনপি কখনো নির্বাচন, সংবিধান ও প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে বিশ্বাস করে না। অতীতের ন্যায় তারা চায় হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি যখন নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরুর একটি গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চলেছেন ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের চিহ্নিত রাজনৈতিক অপশক্তি চিরাচরিতভাবে দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি ও সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার এক ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। 

কাদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ‘সাদেক আলী-আজিজ মার্কা’ নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা ভুলে যায়নি। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো প্রকার আলাপ-আলোচনা ব্যতীত সংবিধান ও গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি অনুসরণ না করেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ্ঞাবহ লোক দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণা ভরে বিএনপির সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বাংলার মানুষ ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। 

২০০৯ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলেই ২০১২ এবং ২০১৭ সালে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সকলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের অনন্য নজির স্থাপিত হয়। বিএনপি কখনো সংবিধান, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না। 

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে বিএনপি তা অনুসরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করে কাদের বলেন, একইসঙ্গে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অপপ্রচারের নীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি এবং সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরে আসবে। 

নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি প্রস্তুত করার জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আমন্ত্রিত রাজনৈতিক দলগুলোকে এ সংলাপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত।

এইউএ/এসকেডি