পাসপোর্ট নিয়ে সংশয় কাটছে না মালয়েশিয়া প্রবাসীদের
পাসপোর্ট নিয়ে সংশয় প্রবাসীদের
পাসপোর্ট নিয়ে সংশয় কাটছে না মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের। বৈধ হতে গত বছর অনেকেই তাদের পাসপোর্ট দালাল ও বিভিন্ন এজেন্টের কাছে জমা দেন। কিন্তু তাদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন এসব প্রবাসীরা। এ বছর আবারও ভেন্ডর বা এজেন্ট নিয়োগ না দিয়ে মালিকের মাধ্যমে বৈধতার সুযোগ দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। এতে প্রতারণা হবে না বলে আশা করছেন প্রবাসীরা। তবে সময়মতো পাসপোর্ট হাতে না পেলে এবারও বৈধতার সুযোগ হাত ছাড়া হওয়ার শঙ্কায় আছেন তারা।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে দেশটিতে টানা লকডাউন চলছে। তবে প্রবাসীদের সঠিক সময়ে ভিসা রিনিউ করতে ছুটির দিনগুলোতেও কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ পাসপোর্ট বিতরণ করেছে তারা। প্রতিদিন ১৩শ পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে সেই সঙ্গে প্রতিদিন নতুন ১৫শ পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
গত নভেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ পক্রিয়ায় বৈধ হতে ইচ্ছুক নতুন পাসপোর্টের আবেদন বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে কয়েকগুণ। প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে দ্রুত পাসপোর্ট পৌঁছে দিতে পাসপোর্ট কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। বিদেশি দূতাবাসের মধ্যে একমাত্র মালয়েশিয়াই ডাকযোগের মাধ্যমে পাসপোর্ট এপ্লিকেশন রিসিভ সিস্টেম চালু রেখেছে।
এ বিষয়ে পাসপোর্ট এন্ড ভিসা শাখার প্রধান মো. মশিউর রহমান তালুকদার জানান, মালয়েশিয়া সরকার একটানা লকডাউন ঘোষণার পাশাপাশি কন্ডিশনাল মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (সিএমসিও), স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) অব্যাহত রেখেছে। এসব বিধিমালা অনুসরণ করে পাসপোর্ট সার্ভিস স্বাভাবিক রাখা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, প্রবাসীদের কর্মক্ষেত্র স্বাভাবিক করতে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সবধরনের সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং দ্রুত পাসপোর্ট ডেলিভারিতে দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
মালয়েশিয়ায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, পাসপোর্ট দ্রুত ডেলিভারি দিতে ইতোমধ্যে হাইকমিশনে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও নিয়োগের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মালয়েশিয়া পোস্ট অফিসের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে, যাতে করে পাসপোর্ট দেশটির দূর-দূরান্তে কর্মরত কর্মীদের সহজে পৌঁছে দেওয়া যায়। বৈধকরণ নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, রিক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিয়োগদাতা বা মালিকের ওপর নির্ভর করে। না জেনে না বুঝে কারও সঙ্গে আর্থিক লেনদেন না করার পরামর্শ দেন তিনি।
এমএইচএস