ভার্চুয়ালি লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন হ্যামট্রাম্যাক সিটি মেয়র কেরেন মাজেয়াস্কিস/ ঢাকা পোস্ট

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের হ্যামট্রাম্যাক শহরে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা গ্রন্থাগার ‘বর্ণমালা বাংলা কর্নার’ যাত্রা শুরু করেছে। দুপুর ১২টায় ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন হ্যামট্রাম্যাক সিটি মেয়র কেরেন মাজেয়াস্কিস। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হ্যামট্রাম্যাক পাবলিক লাইব্রেরির পরিচালক তামারা সোচাকা, সিটি কাউন্সিলম্যান মোহাম্মদ কামরুল হাসান, কাউন্সিলম্যান নাঈম চৌধুরী, লাইব্রেরির উদ্যোক্তা বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট ও দার্শনিক ডা. দেবাশীষ মৃধা এবং তার সহধর্মিনী চিনু মৃধা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বর্ণমালা বাংলা কর্নারের প্রধান সমন্বয়ক মৃদুল কান্তি সরকার। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র কেরেন মাজেয়াস্কিস বলেন, লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। তিনি এ উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লাইব্রেরির পরিচালক তামারা সোচাকা বলেন, এখানে প্রচুর বাঙালি পাঠক রয়েছেন। সে তুলনায় বই আমাদের ছিল না। এখন আমরা পর্যাপ্ত বই পেয়েছি। আমি খুবই খুশি এবং কৃতজ্ঞ।

ডা. দেবাশীষ মৃধা বলেন, বই মানুষের পরম বন্ধু। তাই জ্ঞান আরোহণের জন্য বেশি করে পাবলিক লাইব্রেরিতে যেতে হবে। বইয়ের সম্ভাব্য বাস্তবতা ও কল্পনা পাঠকের মনে নতুন আবেগ ও অনুভূতি সৃষ্টি করে, যা তাকে অন্য সংস্কৃতির মানুষকে বোঝা ও তাদের প্রতি সহমর্মী হতে সাহায্য করে। তিনি সবাইকে লাইব্রেরিতে এসে বই পড়ার আহ্বান জানান। 

বিশেষ অতিথি ও প্রতিষ্ঠাতা চিনু মৃধা এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি গ্রন্থাগারের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় তিনি হ্যামট্রাম্যাক পাবলিক লাইব্রেরির পরিচালক তামারা সোচাকাকে ধন্যবাদ জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কাউন্সিলম্যান মোহাম্মদ কে. হাসান এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ অতিথি কাউন্সিলম্যান নাঈম চৌধুরী একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস উল্লেখ করে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাগত জানান।

বর্ণমালা বাংলা কর্নারের প্রধান সমন্বয়কারী মৃদুল কান্তি সরকার ঢাকা পোস্টকে জানান, ভবিষ্যতে লাইব্রেরিতে আরও বই আসবে। মিশিগান অঙ্গরাজ্যে নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি পৌঁছে দেওয়ার কাজে মৃদুল নিজেকে নিযুক্ত রাখবেন।

এইচকে