দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও কোরিয়ান নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের সংগঠন ‘ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া’র নবগঠিত কমিটির নেতারা।

এ সময় ইপিএস বাংলার উপদেষ্টা ফজলুর রহমান নবগঠিত কমিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী আহসানুল ইসলাম ও সিনিয়র সহ-সভাপতি বাধন কাজীকে কোরিয়াস্থ সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম ও দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মকিমা বেগমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

পরে সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে ‘ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া’র নবগঠিত কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। 

গত বছর করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ভিসা ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর ফলে  সবার মধ্যেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ে। দীর্ঘ আট মাস পর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় বাংলাদেশ সরকার ও সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ইপিএস কর্মীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান নতুন কমিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি এ বছরের কমিউনিটির বাৎসরিক পরিকল্পনা রাষ্ট্রদূতের হাতে তুলে দেন।

সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূতকে ইপিএস কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে অবহিত করা হয় এবং সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আশু পদক্ষেপ গ্রহণে অনুরোধ করা হয়। এর মধ্যে দেশে অপেক্ষমাণ কোরিয়ায় গমনেচ্ছুক স্পেশাল রিএন্ট্রিপ্রাপ্ত কমিটেড কর্মী, স্পেশাল সিবিটিতে রোস্টারভুক্ত কর্মী ও নতুন ভিসা ইস্যুকারীদের কোরিয়ায় প্রবেশের বিষয়ে দ্রুততম সময়ে সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। 

কোরিয়াতে যারা কৃতিত্বের সঙ্গে ভিসা পরিবর্তন করেছে তাদের দূতাবাস ইপিএস বাংলা কমিউনিটির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান এবং এ ব্যাপারে ইপিএস বাংলার অবদানের প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত কোরিয়াতে বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের সংখ্যা বাড়াতে ইপিএস বাংলাকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে ইপিএস বাংলা কমিউনিটির পাশে থাকা ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ইপিএস কর্মীদের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে দূতাবাসের ভূয়সী প্রশংসা করেন উপস্থিত কমিউনিটির নেতারা। ভবিষ্যতে যাতে এ ধারা অব্যাহত থাকে তার জন্য তারা রাষ্ট্রদূতের কাছে অনুরোধ জানান। পরে সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনায় এবং ইপিএস কর্মীদের ভালোবাসায় এই কমিউনিটি দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আলোচনা শেষ করা হয়।

এসএসএইচ