করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত নেই কানাডায়
যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস। তবে নতুন ধরনের করোনা এখনও সংক্রমণ ঘটায়নি কানাডায়।
কানাডার জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়েছে কি না তা চিহ্নিত করতে নিবিড়ভাবে কাজ চলছে।
বিজ্ঞাপন
পাবলিক হেলথ অন্টারিওর একজন মুখপাত্র স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, এ পর্যন্ত ৪ হাজার তিনশ'র বেশি নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। তারমধ্যে যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের যে করোনা শনাক্তের কথা বলা হচ্ছে, তার একটিও কানাডায় পাওয়া যায়নি।
ওই মুখপাত্র বলেছেন, ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ কেবল আক্রান্ত ব্যক্তির ‘ভাইরাসের উপস্থিতি’ পরীক্ষার মধ্যে সীমিত থাকে না। নতুন সংক্রমণের উৎস (অরিজিন) খুঁজে বের করতে ভাইরাসের নমুনার জেনেটিক ম্যাটেরিয়্যাল বিশ্লেষণ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। দেখা দিয়েছে নতুন করে করোনা আতংক।
কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা থেরেসা ট্যাম সোমবার এক টুইটবার্তায় বলেন, যুক্তরাজ্যে দেখা দেওয়া নতুন ধরনের ভাইরাসটি ইতোমধ্যে কানাডায় ঢুকেছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভাইরাসের জেনেটিক মিউটেশন নতুন কিছু নয়। কোভিড মহামারির শুরু থেকে কয়েকবারই এই ধরনের মিউটেশন হয়েছে। করোনার নতুন প্রজাতি আসলেই আরও বেশি সংক্রমাক কি না তা নিশ্চিত হতে আরও তথ্য দরকার।
প্রসঙ্গত, ‘জিনোম কানাডা’র নেতৃত্বে পরিচালিত ‘দ্যা কানাডিয়ান কোভিড-১৯ জিনোমিক নেট্ওয়ার্ক’ এই ভাইরাসের জেনেটিক রপান্তর ও প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করছে।
এদিকে কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকারের দেওয়া বিভিন্ন বিধিনিষেধের পরেও করোনা নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২১ হাজার ৫০৯ জন, মারা গেছেন ১৪ হাজার ৪ শত ২৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫৬১ জন।
কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অনটারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে উদ্বেগজনকভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চাপ পড়ছে ব্যাপক হারে।
এআর/এইচকে