সংগৃহীত ছবি

কানাডায় এবার জাঁকজমকহীনভাবে পালন হবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে। বড় দিনের ছুটিতে নাগরিকদের বাড়ির বাইরে জমায়েত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 

টরন্টো স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. এইলিন দ্য ভিলা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনাভাইরাস  আগের চেয়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে। বড় কোনো উৎসব উদযাপন পরিস্থিতি আরও নাজুক করে তুলতে পারে। 

তিনি জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সাত দিনে শুধু টরন্টোতে নতুন করে ৪ হাজার ১০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৮ জন মারা গেছেন। ২৪ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের শুরু পর্যন্ত সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। কারণ এ সময় লোকজন পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বেশি করবে। 

এদিকে নতুন এক সমীক্ষা বলছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমূখী হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে কান দিতে রাজি নন অনেকেই। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে কানাডার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন। প্রতিনিয়ত কানাডায় করোনার প্রকোপ বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যু। ব্যাপক চাপ পড়েছে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের প্রধান এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বড়দিনে পরিবার নিয়ে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছেন। ঘরেই প্রার্থনা এবং আয়োজন করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। 

করোনার ভয়াবহ প্রকোপের মধ্যে অ্যাঙ্গাস রিড ইনস্টিটিউটের নতুন এক সমীক্ষা বলছে, কানাডার ২৭ শতাংশ অন্টারিওবাসী ছুটির মধ্যে স্থানীয় বন্ধু ও পরিজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ভাবছেন। ৮ শতাংশ বাসিন্দা আবার অন্য কমিউনিটির বা প্রদেশের বাইরে গিয়ে সাক্ষাতের পরিকল্পনাও করছেন। যা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। 

প্রতিবার বড়দিনকে ঘিরে কানাডায় দুই মাস আগে থেকে চলে বিভিন্ন পার্টি ও অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। বড়দিনে কানাডায় থাকে ছুটির আমেজ। পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ-ফূর্তিতে সময় কাটায় সবাই। আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয় অফিস-আদালত আর শপিংমল। পরিবহনগুলোতে লেখা হয় 'হ্যাপি হলিডে'। এবার করোনার কারণে সেসব চোখে পড়ছে না।

এদিকে প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন এরইমধ্যে সীমিত পরিসরে প্রয়োগ হচ্ছে কানাডায়। কানাডাবাসী আবার ফিরে পাবে কাঙ্ক্ষিত স্বাভাবিক জীবন। সে আশায়ই বুক বেঁধে আছে।

এআরবি/এইচকে