চীনে ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবিনার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে যথাযথভাবে উদযাপন করেছে চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপলেক্ষে বাংলাদেশে দূতাবাসে নানান কর্মসূচির আয়োজন করে।
রোববার (৭ মার্চ) সকালে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু করেন রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান।
বিজ্ঞাপন
এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূতসহ সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। পাঠ করা হয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বার্তা।
৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় দূতাবাস ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য; বঙ্গবন্ধুর কূটনীতি ও বৈদেশিক নীতি’ শীর্ষক অনলাইনভিত্তিক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ড. এম নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় মূল বক্তব্য রাখেন ইতিহাসবিদ, বর্তমান বঙ্গবন্ধু চেয়ার, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
মূল আলোচনায় অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আনোয়ার হুসেন বলেন, ঐতিহাসিক ভাষণ বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক তীক্ষ্ণতা এবং কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় রেখেছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকার পাশাপাশি তার অতিশয় শক্তিশালী কারিশমার কারণে বঙ্গবন্ধু নীতি নির্ধারণ ও নতুন দেশ গঠনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন কিছু উল্লেখযোগ্য বক্তব্য দিয়েছেন যা বাংলাদেশের বিদেশ নীতিকে পূর্বনির্দেশিত করেছিল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান, চায়না মিডিয়া গ্রুপের ঢাকা ব্যুরোর প্রধান ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দি, বেইজিং বিদেশ অধ্যায়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চাং ছিয়ং।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকদের অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে উত্সাহিত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এ বক্তব্য রেখে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুর ও দিক নির্ধারণ করেছিলেন এই বলে যে, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।’
বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী, বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের সদস্য, চীনের সরকারি কর্মকর্তা, চীনা ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ওয়েবিনারে অংশ নেন।
এসএম