পরমাণু দুর্ঘটনা পরবর্তী বিকিরণ ডোজ পুনর্নির্মাণের সহজ উপায় বের করেছেন সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। একটি উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে, আজকাল অনেক দেশ টেকসই শক্তি উৎপাদনের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে মনোনিবেশ করেছে।

রোববার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি প্রফেসর ড. মঈন খন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, পারমাণবিক শক্তির অনেক লাভ  থাকা সত্ত্বেও, একটি ঝুঁকি রয়ে গেছে। যা মূলত জ্বালানি চক্র, বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাকৃতিক বা প্রযুক্তিগত ক্রটি থেকে আসে।

তিনি বলেন, আশপাশের পরিবেশে তেজস্ক্রিয় পদার্থের নির্গমন এবং বিস্তারের মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। যা জনগণের কাছে বিকিরণের এক্সপোজার বুঝতে এবং সম্ভাব্য প্রতিকার গ্রহণে সহায়তা করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, টয়োটা ও হোন্ডা ব্র্যান্ডের গাড়ি সাধারণত বিশ্বব্যাপী পাওয়া যায়। গাড়িগুলো পারমাণবিক স্থাপনাসহ শিল্প পরিবেশের পরিধিতে স্থির তবে দূরত্বে পার্ক করা হয়। এই পরীক্ষায় অপরিকল্পিত পারমাণবিক দুর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে দুর্ঘটনা-পরবর্তী ডোজ পুনর্নির্মাণের জন্য গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ব্যবহারের সম্ভাব্যতাগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে। তেজস্ক্রিয় ও পারমাণবিক সামগ্রীর অন্যান্য ব্যবহার থেকে অপ্রত্যাশিত ঘটনাও তদন্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, একটি সুবিধাজনক ‘থার্মোলুমিনেসেন্স’ কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, টয়োটা ও হোন্ডা ব্র্যান্ডের উইন্ডস্ক্রিনগুলো দুর্ঘটনার চার সপ্তাহ পরেও মানুষ ও আশপাশের পরিবেশ-প্রতিবেশে বিকিরণ ডোজটি পুনর্গঠন করতে সফলভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই কাজটি প্রমাণ করেছে যে গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনগুলো একটি প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা ডসিমিটার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি বলা বাহুল্য যে, এই সুবিধাজনক পদ্ধতিটি পৃথিবীতে এর আগে অনুসন্ধান করা হয়নি।

এই কাজের প্রদর্শিত কৌশল অবলম্বন করে, জাতীয় সংস্থাগুলো এবং নীতিনির্ধারকরা জনগণের কাছে বিকিরণের ডোজের আসল তথ্য পেতে পারেন এবং পরে প্রয়োজনীয় প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। বিস্তারিত তথ্য www.mdpi.com এই লিঙ্কে।

ওএফ