নতুন ধরনের করোনা নিয়ে আরও বিস্তর গবেষণা দরকার - প্রতীকী ছবি

কানাডার আলবার্টায় সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে আসা এক ব্যক্তির দেহে করোনার নতুন ধরন শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। আলবার্টার চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. ডিনা হিনসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই আইসোলেশনে গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন। তার থেকে অন্য কেউ সংক্রমিত হওয়ার প্রমাণ নেই।  

তিনি আরও জানান, আলবার্টা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এখন ওই ব্যক্তি যে ফ্লাইটে এসেছেন তার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের তালিকার খোঁজ চলছে। 

এরইমধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে সব ধরনের ফ্লাইট কানাডা আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ দিনের মধ্যে আমেরিকা বা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারা এসেছেন তাদেরকে আলবার্টা হেলথ সার্ভিসের সঙ্গে  যোগাযোগ করতে হবে।

করোনার নতুন ধরনটি অধিক সংক্রমণযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এটি ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা কমাবে কি না সে বিষয়ে এখনও কোনো প্রমাণ নেই।
 
অন্যদিকে কানাডার স্বাস্থ্যখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল পাবলিক হেলথ এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে চিহ্নিত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন প্রকৃতি (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত) ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে না। এমনকি এটি মারাত্মক কোনো অসুস্থতাও সৃষ্টি করতে পারে না।

হেলথ কানাডার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে চিহ্নিত নতুন ধরনের করোনার ব্যাপারে আরও গবেষণা দরকার। কানাডাসহ বিশ্বের গবেষকরা নতুন ধরনের করোনার তথ্য পর্যালোচনা করছেন। 

কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২০৭ জন। মহামারিতে প্রাণহানি হয়েছে ১৫ হাজার ১২১ জন মানুষের। আক্রান্তদের মধ্য থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৩ জন।

কানাডার নাগরিকদের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তারপরেও করোনা নিয়ন্ত্রণে অনেক ক্ষেত্রেই হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে।

এইচকে