বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধের দাবি
শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি, চুক্তি ও ঘুষ বাণিজ্য বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত সব সংস্থা, প্রবাসী ও যাত্রীদের অংশগ্রহণে একটি অংশীদার সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
সভায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ইউএইর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জনি অভিযোগ করেন, বিমানবন্দরে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রমণ যাত্রীরা। ভ্রমণ ভিসায় আমিরাতে যেতে আগ্রহীদের দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে সত্যায়িত কাগজপত্র থাকার পরও অনেককে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এক-দেড় লাখ টাকা দিয়ে যারা চুক্তি করছে তাদেরকে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আরব আমিরাতে শ্রমিক ভিসা বন্ধ। কিন্তু অনেকে ভ্রমণ ভিসায় গিয়ে সেখানে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। এতে করে দেশের রেমিট্যান্স বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
রেমিট্যান্স প্রবাহের কথা চিন্তা করে দুবাইগামীদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তিনি।
সভায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এসপি জকির হোসেন ভ্রমণ ভিসায় আরব আমিরাতে যেতে আগ্রহীদের দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ করেন। তিনি জানান, কেউ হয়রানির শিকার হলে তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।
বিমানবন্দর কাস্টম্সের ডেপুটি কমিশনার রোকসানা খাতুন বলেন, অনেক যাত্রী অন্যের ব্যাগ বহন করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েন। অনেক সময় আইন বহির্ভূত জিনিসপত্র কিংবা কাস্টমসকে ফাঁকি দিয়ে পণ্য বহনের চেষ্টা করা হয়। ধরা পড়লে তারা সেসব মাল নিজেদের নয় বলে ঘোষণা দেন। কিন্তু এমন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে।
তাই অন্যের ব্যাগ বা পণ্য বহনে নিরুৎসাহিত করেন রোকসানা খাতুন।
বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার মো. ফরহাদ হোসেন খান বলেন, বর্তমানে বিমানবন্দরের দায়িত্বে প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। আগামী পাঁচ বছরে আরো পরিবর্তন আসবে। উন্নয়ন হবে।
সভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধি সহকারী স্টেশন ম্যানেজার আলাউদ্দিন আল মামুন, বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরাফাত, ওমান প্রবাসী সিআইপি ইয়াসিন চৌধুরী, সিআইপি আশরাফুল রহমান, কাতার প্রবাসী নুর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন/এসআরএস