মালয়েশিয়ায় কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেও বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। সে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৮০৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৫৯ জন। বৃহস্পতিবার (২০ মে) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির পরও নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারও কঠোর লকডাউনের কথা ভাবছে সরকার। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে প্রস্তাবও আনা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, পুরো দেশে না হলেও অধিক সংক্রমিত রাজ্যগুলোতে কঠোর লকডাউন দিতে পারে সেদেশের সরকার। এ ধরনের সিদ্ধান্ত হলে কঠোর লকডাউনের আওতায় আসতে পারে মালয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি রাজ্য।

শুক্রবার (২১ মে) প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী টাকিউদ্দিন হাসান।

আইনমন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচিতে জনসচেতনতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। কঠোর লকডাউন দিলে দেশটির ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি আবারও সংকটে পড়তে পারেন বিদেশি শ্রমিকরা। কাজ হারাতে পারেন অনেকে।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (এমইএফ) নির্বাহী পরিচালক শামসুদ্দীন বরদান বলেছেন, দীর্ঘদিন কাজ-কারবার বন্ধ থাকার পর  ব্যবসায়ীরা ব্যবসা শুরু করেছেন। ব্যবসায় লাভের মুখও দেখতে শুরু করেছেন। আবার যদি সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়, কর্তাব্যক্তিরা তাদের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের টাকা পাবেন কোথায়। এমন প্রশ্ন ছুড়েছেন ফেডারেশনের এ নেতা।

তিনি বলেন, গত বছর থেকে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ব্যবসায়ী স্থায়ীভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার যদি পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয় তবে ব্যবসায়ীরা পথে বসবেন। বেসরকারি খাতে বিভিন্ন স্থগিতাদেশ সরিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহে সরকারকে প্রণোদনা ও ভর্তুকি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আরএইচ