যথাযোগ্য মর্যাদায় মরিশাসে শোক দিবস পালন
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে মরিশাসের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৫০ জনের মধ্যে সীমিত রাখা হয়। শোক দিবস উপলক্ষে হাইকমিশনের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল- জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ, বিশেষ মোনাজাত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, এক মিনিট নীবরতা পালন, বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের নানা দিক তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন। আলোচনা সভায় মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এলান গানু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
দিবসের শুরুতে হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ সকলের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম সূচনা করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
বিকেলে আলোচনা সভার শুরুর আগে হাইকমিশনার প্রধান অতিথিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন এবং এক মিনিট নীবরতা পালন করেন। এরপর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র ‘সোনালী দিন’ প্রদর্শন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
রেজিনা আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আমরা তার স্বপ্নকে ধারণ করছি এবং তা পূরণে বদ্ধ পরিকর।
মন্ত্রী এলান গানু বলেন, ১৯৭২ সালে আমি যখন লন্ডনে আইনের ছাত্র ছিলাম তখন বিবিসিতে বঙ্গবন্ধুর একটি সাক্ষাতকার আমাকে আন্দোলিত করে। আমি দেখেছি যে, তিনি জনগণের জন্য কতটা উদ্বিগ্ন এবং নিবেদিত। তিনি আরও বলেন যে, এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুততম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় আগামী এক দশকের মধ্যেই উন্নত বিশ্বের মর্যাদা লাভ করবে।
তিনি বলেন, মরিশাস সরকার মানবতার প্রতি বঙ্গবন্ধুর অবদানের জন্য পোর্ট লুইসে ‘শেখ মুজিব স্ট্রিট’ নামে একটি রাস্তার নামকরণ করেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, মরিশাস এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বর্তমান সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় হবে।
এনএফ