মেসি-রোনালদোকে হারিয়ে লেভান্ডভস্কিই ফিফা বর্ষসেরা
ছবি: সংগৃহীত
শেষ মৌসুমে অতিমানবীয় ফর্মই যেন ভর করেছিলো রবার্ট লেভান্ডভস্কিতে। তাতে লিওনেল মেসি কিংবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদেরও ম্লান করে দিয়েছেন পোলিশ স্ট্রাইকার। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ ফিফা বেস্ট পুরস্কার জিতলেন লেভান্ডভস্কি।
চলতি মৌসুমে যেমন খেলেছেন, বছরের সেরা খেলোয়াড় যে রবার্ট লেভান্ডভস্কিই ছিলেন তা নিয়ে কোনো সংশয়ের অবকাশই ছিলো না। কিন্তু করোনাকবলিত মৌসুমে বর্ষসেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত করার রীতি থেকে বেরিয়ে এসেছে ব্যালন ডি’অর কর্তৃপক্ষ ফ্রান্স ফুটবল। তবে ফিফা বেস্টের খেতাবটা ঠিকই পেলেন বায়ার্নের পোলিশ স্ট্রাইকার।
বিজ্ঞাপন
এর আগে উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কারটাও ওঠে তারই হাতে। সবাইকে ছাপিয়ে পরিষ্কার ফেভারিট ছিলেন তিনি, কারণ গেলো মৌসুমে ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৫৫ গোল। দলকে জিতিয়েছেন বছরে সম্ভাব্য পাঁচটি শিরোপাই। করোনার কারণে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ পিছিয়ে না গেলে হয়তো দ্বিতীয় দল হিসেবে বায়ার্ন মিউনিখকে সেটাও জিতিয়ে ছাড়তেন লেভা।
চলতি মৌসুমেও সে ছন্দে ছেদ পড়েনি একটু। বুন্ডেসলিগায় করেছেন ১৫ গোল, তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছুঁয়েছেন লিগটিতে ২৫০ গোলের মাইলফলক। এমন সব কীর্তির পর ফিফা বর্ষসেরার খেতাবটা না জিতলে পুরস্কারটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতো বৈকি! নারী বর্ষসেরার খেতাবটা জিতেছেন গেলো মৌসুমে লিওঁ নারী দলকে টানা চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো ফুটবলার লুসি ব্রোঞ্জ।
বিজ্ঞাপন
গেলো মৌসুমে লিভারপুলের ৩০ বছরের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাখরা কাটানোর কারিগর ইয়ুর্গেন ক্লপ জিতেছেন বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোচ হিসেবে টানা দুইবার পুরস্কারটি জিতে রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। তবে বায়ার্নকে ১০ মাসের ব্যবধানে ৫টি শিরোপা জেতানো হ্যান্সি ফ্লিকের পুরস্কার না জেতা এ নিয়ে প্রশ্নও তুলছে বেশ। তবে বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার ঠিকই জিতেছেন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। সেরা নারী গোলরক্ষক হয়েছেন সারা বোহাদ্দি। সেরা নারী কোচ হয়েছেন নেদারল্যান্ডস কোচ সারিনা উইগমান।
বর্ষসেরা গোলের জন্যে পুরস্কৃত হয়েছেন টটেনহ্যামের সন হিউং মিন। বার্নলির বিপক্ষে গেলো মৌসুমে নিজেদের অর্ধ থেকে দারুণ এক সলো রানে গোলটি করে কোচ জোসে মরিনিয়োর চোখে ‘সনালদো নাজারিও’ বনে গিয়েছিলেন তিনি।
ফিফপ্রো একাদশে অবশ্য ফিফা বর্ষসেরা গোলরক্ষক নয়্যারের জায়গা হয়নি। গোলপোস্টের নিচে আছেন লিভারপুলের এলিসন বেকার। রক্ষণভাগে আছেন লিভারপুলের আরও দুইজন, অ্যান্ড্রু রবার্টসন ও ভার্জিল ফন ডাইক। রক্ষণভাগের অন্য দুই খেলোয়াড় বায়ার্ন মিউনিখের আলফনসো ডেইভিস ও রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সার্জিও রামোস। মাঝমাঠের তিনজন হচ্ছেন, কেভিন ডি ব্রুইনা, জশুয়া কিমিখ ও থিয়াগো আলকান্তারা। আক্রমণভাগে অনুমিতভাবেই আছেন ফিফা বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা তিনজন; মেসি, রোনালদো ও লেভান্ডভস্কি।
এনইউ