ট্রফির দুই পাশে ফাইনাল খেলা দুই দলের অধিনায়ক। শুক্রবার নির্ধারিত হবে শিরোপা যাবে কার ঘরে। ছবি : বিসিবি/ রতন গোমেজ

ভালো কিংবা খারাপ-ইতি টানতে হয় সবকিছুর। প্রাপ্তি, আনন্দ, বিষণ্নতার অথবা হারানোর- শেষ হয় সবকিছুরই। করোনা মহামারির ইতি এখনো হয়নি। একটা সময় চারদিকে কান পাতলেই যেমন শোনা যেত আতঙ্ক, আর্তনাদ, অবসানের পথে সেটিও।

এইতো মাস তিনেক আগেও ক্রিকেট এক সুদূরের বাস্তবতা। ব্যাট ও বলের শব্দ বাড়াবাড়ি রকমের কল্পনা। সেটির ইতি ঘটেছে অনেক আগেই। বাংলাদেশে তিন দলের প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে। তবে সেখানে সত্যিকারের ক্রিকেটের স্বাদ যেন আসছিল না। 

সেটা পুরোপুরি এনে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। পাঁচ দলের এই কর্পোরেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল নভেম্বরের ২৪ তারিখ, পর্দা নামছে শুক্রবার। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও জেমকন খুলনার ফাইনালের মধ্যে দিয়ে। 

পুরো আসর জুড়ে দাপট দেখিয়েছে চট্টগ্রাম। ব্যাট হাতে লিটন দাস-সৌম্য সরকাররা। বোলিংয়ে পারফর্ম করেছেন প্রায় সবাই। বিশেষত মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম আর নাহিদুল। তবে ফাইনালের লড়াইটা সমান হওয়ার কথাটা খুলনা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে কোয়ালিফায়ারেই। 

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ধরাশায়ী হয়েছিল তাদের কাছে তখন। খুলনা দলে তারকার ছড়াছড়ি ছিল, সে অনুযায়ী ছিল না পারফরম্যান্স। মাঝপথে মাশরাফি বিন মুর্তজার সংযুক্তি দলে তারকার ভার বাড়িয়ে দিয়েছিল আরও। তবে সেটা যে চাপ হয়নি, মাশরাফি সেটা প্রমান করেছেন চট্টগ্রামের বিপক্ষেই পাঁচ উইকেট নিয়ে। 

আসরের মাঝপথে হ্যামস্ট্রিং চোট কাটিয়ে মাশরাফির অর্ন্তভুক্তি খুলনা দলে যে ইতিবাচকতা ছড়িয়েছে, সেটা জানাচ্ছেন তাদের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নিজেই। অভিজ্ঞতার ভাগাভাগি নিজের জন্যেও বাড়তি পাওয়া মনে করেন তিনি। 

খুলনা অধিনায়ক মাশরাফির অর্ন্তভুক্তিকে দেখেন এভাবে, ‘কোনো সন্দেহ নেই, মাশরাফি ভাইয়ের অন্তর্ভুক্তি খুবই ইতিবাচক একটা দিক আমাদের দলের জন্য। ড্রেসিংরুম এবং বাইরেও আমরা অনেক আলাপ আলোচনা করি, কারণ তিনি দারুণ অভিজ্ঞ। উনার অভিজ্ঞতার কিছুটা আমরা যদি ভাগাভাগি করতে পারি, এমনকি আমার জন্যও অনেকটা সহায়ক হয়।’ সন্দেহ মিরপুরে শুক্রবারের ফাইনালেও থাকছে মাশরাফি ‘ফ্যাক্টর!’

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চট্টগ্রামকে নিয়ে নানা সংশয় আর দ্বিধা ছিল। সন্দেহ ছিল অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের নেতৃত্বগুণ নিয়েও। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে প্লে অফ নিশ্চিত করে সেসব দূর হয়েছে। ফাইনালের আগে চট্টগ্রাম কোচ সালাউদ্দিন অধিনায়কের সঙ্গে কৃতিত্ব দিচ্ছেন লিটন দাসকে। 

সালাউদ্দিন বলছেন, ‘আমার মনে হয়, মিঠুনের মাথা খুবই ভালো এবং খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমার ক্রিকেটাররাও বুঝতে পেরেছে যে মিঠুনের মাথা খুবই ভালো। সেদিক দিয়ে লিটনেরও প্রশংসা অনেক করতে হবে। তারা দুজন মাঠে ছিল বলে আমাদের ছেলেদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে, অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুবিধা হয়েছে। সবদিক দিয়ে বলব, অধিনায়কত্ব করার মতো উপকরণ তার আছে। সে যদি ভালো ক্রিকেট খেলে, তাহলে তার অধিনায়ক হওয়ার মতো যোগ্যতা আছে।’

এমএইচ