পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ২০১৮ সালের পর আবার উইন্ডিজ সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। যেখানে ২ টেস্টের সঙ্গে সমান ৩টি করে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজ খেলবে সফরকারীরা। সাদা পোশাকের ফরম্যাট দিয়ে ১৬ জুন মাঠে গড়াবে দুই দলের লড়াই। তার আগে ৩ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যেখানে ব্যাট-বল হাতে প্রস্তুতি পর্বটা মন্দ হয়নি টাইগারদের।

অ্যান্টিগায় ক্রিকেট উইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের বিরুদ্ধে ম্যাচটি ড্র’য়ে সমাপ্তি হয়। তবে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার কাজটা ঠিকঠাকই করেছেন তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেনরা। সোমবার প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে স্বস্তি প্রকাশ করা হয় বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে।

কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩১০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ দল। তামিম অপরাজিত থাকেন ১৬২ রানে। ২৮৭ বলে ২১টি চার ও ১টি ছয়ের মার ছিল তার ব্যাটে। শান্ত খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। নুরুল হাসান সোহান থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি, আউট হন ৩৫ রান করে। বাকিরা অবশ্য প্রথম ইনিংসে সুবিধা কর‍তে পারেনি।

এরপর ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৫৯ রান করার পর নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে প্রেসিডেন্ট একাদশ। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন ওপেনার জেরেমি সোলোজানো। 

প্রায় এক বছরের বেশি সময় পর লাল বলের ক্রিকেটে ফেরার দিনে উজ্জ্বল ছিলেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। প্রস্তুতি ম্যাচের শেষ দিনে মাত্র ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। আরেক পেসার এনাদত হোসেন নেন ৩টি। বাকি দুই পেসার খালেদ আহমেদ আর রেজাউর রহমান রাজা ১টি করে উইকেট শিকার করেন। স্পিনার তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেনরা ছিলেন উইকেটশূন্য 

পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দল ওপেনিংয়ে পাঠায় মুমিনুল আর জয়কে। দুইজনই প্রথম ইনিংসে শূন্য হাতে ফিরেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা সুবিধা করতে পারেননি সদ্য সাবেক হওয়া অধিনায়ক, এবার মুমিনুল ফেরেন ৪ রানে। তিনে নামেন মিরাজ। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে, জয় অপরাজিত থাকেন ৯ রানে। বাংলাদেশ দল ১ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৪৭ রান তুললে দুই দলের অধিনায়ক ড্র মেনে নিয়ে খেলা শেষ করেন।

টিআইএস/এসকেডি