এই সিরিজ শুরুর আগে টি-টোয়েন্টিতে টানা ১২ ম্যাচে জয় পেয়েছিল ভারত। তবে ভারতকে তাদের আঙ্গিনাতেই মাটিতে নামিয়ে এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঐতিহাসিক রান তাড়ায় প্রথম ম্যাচ জিতেছিল সফরকারীরা। সেই তুলনায় দ্বিতীয় ম্যাচ সহজেই জিতল প্রোটিয়ারা। ৪ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখেই ভারতের দেওয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্য টপকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।

ওড়িশার বারাবাতি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। শুরুতেই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে (১) হারায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে ঈশান কিষান এবং শ্রেয়াস আইয়ারের ৪৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। ২১ বলে ৩৪ রান করে দলীয় ৪৮ রানে আনরিখ নরকিয়ার বলে কিষান (২১ বলে ৩৪) ফিরে গেলে আবারও বিপদে পড়ে ভারত।

শ্রেয়াস আইয়ার এক প্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে গেলেও কোনো সঙ্গী না পেয়ে ব্যক্তিগত ৪০ রানে তিনি ফিরে যান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। শেষ দিকে প্রায় তিন বছর পর এই সিরিজ দিয়ে ভারতীয় দলে ফেরা দীনেশ কার্তিকের ২১ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংসে স্বাগতিকরা স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান তুলতে সক্ষম হয়।

প্রথম ম্যাচে ২১১ রান তাড়া করে জয় পাওয়া প্রোটিয়াদের জন্য এই লক্ষ্য মামুলি। যদিও পাওয়ার প্লের মধ্যেই মাত্র ২৯ রানে ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার প্রোটিয়াদের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা আশার সঞ্চার করেন স্বাগতিক শিবিরে। তবে অধিনায়ক তেমবা বাভুমা এক প্রান্তে দৃঢ়তার সঙ্গে খেলেন ৩০ বলে ৩৫ রানের বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস।

তবে এদিন প্রোটিয়াদের হয়ে আক্ষরিক অর্থে ম্যাচজয়ী ইনিংসটি খেলেছেন পাঁচে নামা হেনরিখ ক্লাসেন। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ৪৬ বলে ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে প্রায় জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। দল যখন জয় থেকে আর মাত্র ৪ রান দূরে তখন হার্শাল প্যাটেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন তিনি। তবে এই ক্লাসেনকে সঙ্গ দেওয়া প্রথম ম্যাচে জয়ের অন্যতম নায়ক ডেভিড মিলার (১৫ বলে ২০*) ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছেড়েছেন।

এইচএমএ