পেস বোলারে আস্থা রাখছেন তালহা জুবায়ের
ফাইল ছবি
যুব ক্রিকেটে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের খেতাব নিয়ে আগামী বিশ্বকাপে মাঠে নামবে বয়সের কোটা ১৯ পার না করা ক্রিকেটাররা। শিরোপা ধরে রাখতে যে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, সেটি বেশ ভালোভাবেই জানা নতুন যুব দলের। এজন্য করোনার মধ্যেও নিজেদের প্রস্তুত করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তরুণ খেলোয়াড়রা। সেখানেই এই স্কোয়াডের পেসারদের উপর আস্থা রাখছেন তালহা জুবায়ের।
দেশে যখন করোনার প্রকোপ তুঙ্গে, তখন যুব দল বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলোয়াড় বাছাই শেষে একটি ক্যাম্পও করা হয় নতুন যুব দলের সদস্যদের নিয়ে। এরপরও বসে থাকেনি বিসিবি। কিছুদিন আগেই সিলেটে ক্যাম্প করে জৈব সুরক্ষা বল মেনে।
বিজ্ঞাপন
সেখানে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে ৫টি ওয়ানডে খেলে তরুণ ক্রিকেটাররা। এরপর স্কোয়াডের বোলারদের ছুটিতে পাঠিয়ে শুধু ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আলাদা করে কাজ করেন কোচিং স্টাফের সদস্যরা। সেই ক্যাম্প শেষে ব্যাটসম্যানদের খানিক বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এবার বোলারদের নিয়ে ১০ দিনের ক্যাম্প শুরু করেছে বিসিবি। যেখানে ৯ জন পেসারের সাথে ৫ জন স্পিনার সুযোগ পেয়েছেন।
মিরপুরে চলমান এই ক্যাম্পে পেসারদের স্কিল আর উন্নতির জায়গাগুলো ধরে ধরে কাজ করছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেস বোলিং কোচ তালহা জুবায়ের। ক্যাম্প চলাকালীন শিষ্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যেখানে এই সাবেক ক্রিকেটার জানান, যুব পেসারদের উপর আস্থা আছে তার।
বিজ্ঞাপন
তালহা বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরেই এই বোলারদের নিয়ে কাজ করছি। লাস্ট যে ক্যাম্প হয়েছে সিলেটে, ওখানে আমরা ম্যাচ খেলেছি। এখনো পর্যন্ত ভালো করছে। তাদের সামর্থ্য আছে। এই বয়সে যে পেস থাকার দরকার, আরও বেটার করার জন্যই আমরা ক্যাম্পটা করছি। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সুবিধাগুলো দিয়ে যতটুকু সম্ভব ওদের বেটার বোলার বানানো যায়।’
‘ছোট বেলায় তো পেসটা ন্যাচারালি আসে। এখানেও আছে, একদম যে নাই তা না। আমরা স্পিড ওভাবে মাপতে পারিনি। খালি চোখে দেখে যেটা বোঝা যায় ওরা ১৩০ গতিতে বল করতে পারে। এখন আমরা যে চেষ্টাটা করছি স্ট্রেংথ ট্রেনিং হোক বা ফিটনেসে, আরেকটু জোর দিয়ে হোক, কারণ ওরা যখন ন্যাচারালি ওদের দেশে বাড়িতে অনুশীলন করে এখানে কিন্তু এত সুযোগ সুবিধা পায়না কিংবা এসব সম্পর্কে জানেওনা।’
পেসাররা ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত বলে জানান তালহা, ‘এই ক্যাম্পে যারা আছে তারা প্রত্যেকেই পরিশ্রমী। তারা মানসিক ও শারীরিক সব দিক দিয়েই প্রস্তুত। ওদেরকে একটা জিনিস মাথায় দেওয়া হয়েছে যে অনেক কষ্ট করতে হবে এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তারাও প্রস্তুত ত্যাগ স্বীকারের কথা বলেন, কঠোর পরিশ্রমের কথা বলেন। আর তারা কষ্ট করছেও।’
এমএইচ