ছবি : সংগৃহীত

করোনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিশন শেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় গেছে তারা। সেখানে সময়টা সুখকর যাচ্ছে না সফরকারীদের। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অজিদের বিপক্ষে মাত্র ৩৬ রানে গুঁটিয়ে গেছে ভারত। মাঠের পারফরম্যান্সে যখন টালমাটাল বিরাট কোহলির দল, তখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিপক্ষে বৈষম্যের অভিযোগ আনলেন সুনীল গাভাস্কার।

করোনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও ওয়ানডে সিরিজ হারতে হয়েছে ভারতের। টেস্ট সিরিজের শুরুটাও হয়েছে হতশ্রী। এডিলেডে দিবারাত্রির টেস্টে ৩৬ রানে গুঁটিয়ে যাওয়ার লজ্জায় পড়তে হয় সফরকারীদের। এই টেস্টের পর ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বাকি আরও ৩ টেস্ট হাতে রয়েছে ভারতের। তবে সেই ম্যাচগুলোতে অধিনায়ক কোলহলিকে পাচ্ছে না ভারত।

ভারতে সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে জাতীয় দল থেকে ছুটি নিয়েছেন তিনি। দলের খারাপ অবস্থা চলাকালীনও তাকে ছুটি দিয়েছে বিসিসিআই। বিষয়টি একেবারেই মানতে পারেননি দেশটির সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার গাভাস্কার। এনিয়ে বিসিসিআইয়ের বিপক্ষে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও  তরুণ পেসার থাঙ্গারাসু নাটরাজনকে।

স্পোর্টস স্টারের এক কলামে গাভাস্কার লিখেছেন, ‘অনেকদিন ধরে অশ্বিন ভুগছে। তবে সেটি তার বোলিং সামর্থ্যের জন্য নয়। বরং সিটির মূল কারণ অশ্বিন স্পষ্টবাদীতা ও টিম মিটিংয়ে মনের কথা খোলাখুলি বলে ফেলে। যেখানে অন্যরা একমত না হলেও মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়।’

‘অন্য যেকোনো দলই ৩৫০ টেস্ট উইকেট ও ৪ সেঞ্চুরি করা বোলারকে স্বাগত জানাতে কার্পণ্য করবে না। কিন্তু অশ্বিন কোনো ম্যাচে উইকেট সেভাবে না পেলে পরের ম্যাচেই তাকে বসে থাকতে হয়। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে তেমনটি দেখা যায় না। এমনকি কোনো ম্যাচে তারা ব্যর্থ হলেও একের পর এক সুযোগ পেয়ে থাকে, কিন্তু অশ্বিনের ক্ষেত্রে নিয়মটা সম্ভবত আলাদা।’

নাটরাজনের প্রসঙ্গ টেনে গাভাস্কার বলেন, ‘আরেকজন আছে যে দলের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। কিন্তু দলে নতুন বলে সে তা করতে পারবে না। সে হলো নাটরাজন। আইপিএল চলার সময়ই সে বাবা হয়েছে । কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেই তাকে সরাসরি অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়া হয়েছে, সেখানে সীমিত ওভারের সিরিজে দারুণ খেলেছে। তার পর টেস্ট সিরিজের জন্যও তাকে রেখে দেওয়া হয়েছে। অথচ সে মূল স্কোয়াডের অংশ নয়, স্রেফ নেট বোলার হিসেবে আছে। ভেবে দেখুন!’

বিসিসিআইয়ের বিপক্ষে দ্বৈত নীতির অভিযোগ আনেন গাভাস্কার, ‘একজন ম্যাচ জেতানো বোলার, অন্য সংস্করণে হলেও, তাকে রেখে দেওয়া হয়েছে স্রেফ নেট বোলার হিসেবে। সে দেশে ফিরবে সিরিজ শেষে জানুয়ারীর তৃতীয় সপ্তাহে, তখনই কেবল নিজের মেয়েকে প্রথমবার দেখতে পাবে। সেখানে কিনা অধিনায়ক প্রথম টেস্টের পর দেশে ফিরে যাচ্ছে প্রথম সন্তানের জন্মের জন্য। এটাই ভারতীয় ক্রিকেট। আলাদা লোকের জন্য নিয়মও এখানে আলাদা। আমার কথা বিশ্বাস না হলে অশ্বিন ও নাটরাজনকে জিজ্ঞেস করুন।’

এমএইচ