ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার বাদল রায়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান সোমবার রাজধানীর ঢাকেশ্বেরী মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল থেকেই সনাতন ধর্মের শাস্ত্র অনুযায়ী প্রয়াত বাদলের জন্য প্রার্থনা করা হয়।

তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ঢাকেশ্বেরী মন্দিরের এক অংশ বিশেষভাবে সজ্জিত করা হয়। সাবেক এই কৃতি ফুটবলার ও সংগঠকের ক্যারিয়ারের বিভিন্ন ছবি দিয়ে সুসজ্জিত ছিল ঢাকেশ্বরী প্রাঙ্গন। 

বাদল রায়েরস আত্মার শান্তি কামনা করে তার মেয়ে গঙ্গোত্রী রায় বলেন,‘আপনারা সকলে আমার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করবেন। বাবা সারাজীবন নীতি ও আদর্শের সঙ্গে চলেছেন। আমি, ভাই ও মা যেন তার সেই নীতি ও আদর্শ মেনে চলতে পারি।’ 

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা বাদল রায়ের আত্মীয়। শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে বাদলকে প্রতাপ স্মরণ করলেন এভাবে,‘বাদল আমার কয়েক বছরের ছোট। আমার যখন মোহামেডানে ক্যারিয়ার শেষ, তখন ও শুরু করেছিল। কিন্তু জীবনের খেলায় ও এত আগে চলে যাবে ভাবিনি। ওর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে আমার আসতে হবে কল্পনা করিনি।’ 

১৯৭৭ সালে বাদল রায়ের সঙ্গেই মোহামেডানের জার্সি পড়েছিলেন আবদুল গাফফার। ৭৭ সাল থেকে মৃত্যু অবধি বাদলের নিত্য সঙ্গী ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে বাদলের মারাত্মক রক্তক্ষরণের সময় বন্ধুত্বের টানে গাফফার সিঙ্গাপুর ছুটে গিয়েছিলেন।

২০১৭ থেকেই নানা শারীরিক জটিলতায় বারবার হাসপাতালে যেতে হয়েছিল বাদলকে। প্রায় সময়ই বাদল ও তার পরিবারের পাশে ছিলেন গাফফার। বন্ধুর মৃত্যুর পরও তার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গিকার তার,‘বাদল আমার জীবনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বাদল নেই এই ক্ষতি অপূরণীয়। আমরা বাদলের পরিবারের সঙ্গে থাকব সব সময়।’
 
পারিবারিক শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে আত্মীয় স্বজন ছাড়াও ক্রীড়াঙ্গন ও রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাদলের প্রিয় ক্লাব মোহামেডান, সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাব, সম্মিলিত ক্রীড়া পরিবারও শীঘ্রই স্মরণসভা আয়োজন করবে। 

গত ২২ নভেম্বর বাদল রায় রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

এজেড/এমএইচ