ছবি: সংগৃহীত

তিন দফা ওয়ানডে সিরিজ পেছানোর অবশেষে স্থগিত হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। সোমবার স্থানীয় সময় বিকালে একটি যৌথ বিবৃতিতে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানায়, খেলোয়াড় ও স্টাফদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই পক্ষ। 

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি ক্রিকেট মেন্স সুপার লিগের অংশ ছিলো, দুই বোর্ড অবশ্য ভবিষ্যতে সিরিজটি আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সিএসএর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী, কুগান্দ্রি গোভেন্দার বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যা হয়েছে, তার যে প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপর পড়ছে, তা সিএসএ ও ইসিবি হালকাভাবে নিচ্ছে না। আর সফরটাকে স্থগিত ঘোষণাটাকেই সবচেয়ে দায়িত্বপূর্ণ ও যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়েছে আমাদের।’

‘ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে আমি ধন্যবাদ জানাই, যারা আমাদের সঙ্গে এখনো ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। আর আমরা অদূর ভবিষ্যতে ইংল্যান্ড দলকে আতিথ্য দেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

এদিকে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন যোগ করেছেন, ‘আমরা সবসময়ই আমাদের খেলোয়াড় আর ম্যানেজমেন্টের কল্যাণকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটেছে, সফরকারী দলে তার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে চিন্তিত ছিলাম আমরা। আর তাই ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আলাপ করার পর আমরা যৌথভাবে সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা আমাদের খেলোয়াড়দের সুরক্ষার জন্যে প্রয়োজনীয় ছিলো।’

‘ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা যে সমর্থনটা দিয়েছে, আর ব্যাপারটাকে যেভাবে বুঝতে পেরেছে সেজন্যে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আর ভবিষ্যতে ফিরে এসে এই খেলাগুলো খেলার সময় নির্ধারণের ব্যাপারে আশাবাদী আমরা।’

ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ভালোয় ভালোয় কাটলেও বিপত্তিটা বাঁধে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর ঠিক আগ মূহুর্তে। গত শুক্রবার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলে করোনা সংক্রমণে। এরপর রোববার প্রথম ওয়ানডের ঠিক আধাঘণ্টা আগে হোটেল স্টাফদের একজনের করোনাক্রান্ত হবার খবর মিললে দুই দলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে পিছিয়ে দেয়া হয় ওয়ানডেটি। এরপর সোমবার ম্যাচের আগে ইংল্যান্ড দলের দুইজন করোনায় আক্রান্ত হন। ফলে চার দিনের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো পিছিয়ে যায় সিরিজ।

ইংল্যান্ড সিরিজের পরই শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানকে আতিথ্য দেয়ার কথা প্রোটিয়াদের। সিরিজটি বাতিলের ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার আসন্ন সিরিজগুলোও পড়ে গেছে শঙ্কায়।

এনইউ