অনেক সমীকরণ শেষে শেষ আটে জামাল
ছবি: বাফুফে
বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শেখ রাসেল ৩-২ গোলে হারায় শেখ জামালকে। এর ফলে এ-গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেখ রাসেল এবং রানার্স আপ হিসেবে শেখ জামাল চলে গেল শেষ আটে।
শেখ রাসেলের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল সার্ভিসেস দল পুলিশ। আর শেখ জামাল হারল ৩-২ গোলে। পুলিশ ও জামাল নিজেদের মধ্যে খেলায় ২-২ গোলে ড্র করেছিল। তাই সমান পয়েন্ট থাকলেও প্রতিপক্ষের জালে চার গোল বেশি দেয়ায় পুলিশকে পেছনে ফেলে শেষ আটে চলে গেছে শেখ জামাল।
বিজ্ঞাপন
বুধবার শেখ জামালের অধিনায়ক গাম্বিয়ান সলোমন কিং দুর্দান্ত খেলেন। শেখ রাসেলের কাছে হারলেও পেনাল্টি থেকে দুটি গোল করে দলকে তিনি তুলে নিয়ে যান কোয়ার্টার ফাইনালে। জয়ের জন্যই মাঠে নামে শেখ রাসেল।
ম্যাচের আট মিনিটেই আক্রমণ থেকে প্রথম গোল পায় তারা। কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুশবেকভের কর্ণারে গোলমুখ থেকে তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার সিওভুস আসরোরভ হেড জাল খুঁজে নেয়।
বিজ্ঞাপন
২৬ মিনিটে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল বাতিল করেন রেফারি মিজানুর রহমান। ওবি মোনেকের দারুণ একক প্রচেষ্টার গোলে ৩৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে টুর্নামেন্টের ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল।
মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একাই শেখ জামালের বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডার রেজাউল করিমকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড উগোচুকো ওবি মানেকে। ৯ মিনিট পর শেখ জামালের ভালি জনভ ওতাবেককে বক্সের মধ্যে অবৈধভাবে বাধা দেন শেখ রাসেলের দিদারুল হক।
পেনাল্টি থেকে শেখ জামালের অধিনায়ক গাম্বিয়ান সলোমন কিং গোল করে ব্যবধান কমান। ৫৯ মিনিটে বখতিয়ারের ফ্রিকিক থেকে শেখ রাসেলের আবদুল্লাহর বদলে মাঠে নামা বদলী ফরোয়ার্ড তকলিস গোল করেন।
দুশ্চিন্তার ভাজ পড়ে মানিকের কপালে। ৮৯ মিনিটে ওমর জোবেকে বক্সে অবৈধভাবে বাধা দেন শেখ রাসেলের ডিফেন্ডার সোহেল রানা। এতেই বাজিমাত। পেনাল্টি থেকে অধিনায়ক সলোমন কিং গোল করলে ব্যবধান কমে ২-৩ গোলে।
ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল লাইন আপ
১ জানুয়ারি শেখ রাসেল-চট্টগ্রাম আবাহনী
২ জানুয়ারি সাইফ স্পোর্টিং-মোহামেডান
৩ জানুয়ারি বসুন্ধরা কিংস-শেখ জামাল
৪ জানুয়ারি ঢাকা আবাহনী-উত্তর বারিধারা
( প্রতিটি ম্যাচেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে, বিকেল চারটায় )
এজেড/ এমএইচ