চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে হারিয়ে শুরু। মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন কাপে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা আবাহনী ২-১ গোলে মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে ডি-গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবেই কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেছে তারা।

ম্যাচের ৯ মিনিটে কর্ণার থেকে বল পেয়ে বক্সে দাঁড়ানো ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান বেকামেঙ্গার হেড আবাহনীর গোলকিপার শহীদুল আলম হাত উঁচিয়ে কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। নয়তো গোলে পরিণত হতে পারতো সেটি। 

তবে গোলের খেলা ফুটবলে গোল করে এগিয়ে যায় আকাশি-নীলরাই। ৩০ মিনিটে বল নিয়ে এগিয়ে যান আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফ্রান্সিসকো দি সৌসা। কিন্তু তাকে আটকাতে গিয়ে বক্সের বাইরে বল হাতে নিয়ে নেন মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক মাকসুদুর রহমান। 

ফলে ফ্রিকিক পায় আবাহণী। সেট পিস থেকে বাঁ পায়ের শটে সরাসরি বল জালে জড়ান আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি।
 
মিনিট সাতেক পর ওপেন নেট পেয়েও গোল করতে পারেননি অধিনায়ক নাবীব নেওয়াজ জীবন। ৭৩ মিনিটে এসে গোল করান তিনি। জীবনের কর্ণার থেকে বেলফোর্ট কারভেন্সের হেডে বল জাল খুঁজে পায়। 

পশ্চিম গ্যালারিতে দর্শক অভিবাদন নিতে পকেট থেকে ক্ষণিকের জন্য মাস্ক বের করে মুখে পড়ে নেন এই হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড। গোল শোধের সুযোগ খুঁজলেও তা পাচ্ছিল না মুক্তিযোদ্ধা। তবে ম্যাচের অন্তিম সময়ে একটি গোল করে হারের ব্যবধান কমান অলরেডদের মিডফিল্ডার রোহিত সরকার। ওই শেষ। টানা দুই হারে ফেডারেশন কাপ থেকে বিদায় নিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র।

মালয়েশিয়ান কোচ রাজা ইসা ঢাকায় এসেই হাল ধরলেন মুক্তিযোদ্ধার। মঙ্গলবার প্রথমবার তার পরিচালনায় মাঠে খেলে অলরেডরা। এতেই পরিবর্তন ছিল লক্ষ্যণীয়। গতি বেড়েছে ফুটবলারদের। আক্রমণে বেড়েছে ধার। আবাহনীকে ঘাম ঝড়িয়ে ছেড়েছেন ইউসেকো কাতোরা। ম্যাচ জিততে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আকাশি-নীল শিবিরকে। 

এই গ্রুপ থেকে এক জয়ে রানার্স আপ হয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে আরেক ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান।

এজেড/