চলে গেলেন ১৯৮২ বিশ্বকাপের নায়ক রসিও
ছবি: সংগৃহীত
১৯৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর রেশ এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে ১৯৮২ বিশ্বকাপের নায়ক পাওলো রসিও না ফেরার দেশে চলে গেছেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম রাই স্পোর্টস বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাপারটি প্রকাশ করে। সেখানে জানা যায়, অসুস্থতাজনিত কারণেই মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৪ বছর বয়সী এ তারকা।
সদ্যপ্রয়াত ইতালিয়ান এই ফরোয়ার্ড মূলত অমর হয়ে আছেন ১৯৮২ বিশ্বকাপে অবিস্মরণীয় কীর্তির জন্যে। স্পেনে অনুষ্ঠিত সে আসরে ইতালিকে শিরোপাজয়ের পথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রসি। বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি সে আসরে ছয় গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট, দলের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার সুবাদে জিতেছিলেন গোল্ডেন বলও। এমন নৈপুন্যের ফলে সে বছরের ব্যালন ডি’অরটাও ওঠে তারই হাতে।
ইতালির হয়ে ৯ বছরে ৪৮ ম্যাচ খেলে ২০ গোল করা রসি বিদায় নেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপে খেলে। ভিনসেঞ্জায় ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করা রসি তারকাখ্যাতি পেতে শুরু করেন ১৯৮১ সালে, জুভেন্তাসে যোগ দেয়ার ঠিক পর। ‘পাবলিতো’ ডাকনামেও পরিচিত রসি এরপর খেলেছেন মিলান আর ভেরোনার হয়েও। ৩৩৮ ম্যাচে ১৩৪ গোল করে রসি বনে গিয়েছিলেন তার সময়ের সেরা ফরোয়ার্ডও।
ক্লাব ফুটবলে রসি সিরি আ শিরোপা জিতেছেন দুইবার, জুভেন্তাসের হয়ে ১৯৮১-৮২ ও ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে। জুভেন্তাসের হয়েই ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে জিতেছিলেন ইউরোপিয়ান কাপ। ক্যারিয়ার শেষে ইতালিয়ান এই কিংবদন্তি কলামিস্ট ও ফুটবল বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেছেন বহু বছর। শেষ সময় পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন রাই স্পোর্টসে।
তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করতে গিয়ে রাই স্পোর্টসের প্রতিবেদক এনরিকো ভারিয়েলে বলেন, ‘খুবই দুঃখের সংবাদ, পাওলো রসি আমাদের ছেড়ে গেছেন। পাবলিতোকে ভোলা অসম্ভব। যিনি আমাদেরকে ১৯৮২ গ্রীষ্মের প্রেমে পড়ে যেতে বাধ্য করেছিলেন, তিনি অমূল্য আর রাই এর হয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অনন্য অবদান রেখেছেন। শান্তিতে বিশ্রাম নিন পাওলো।’
বিজ্ঞাপন