কোলপ্যাক থেকে ফিরেও অনুতপ্ত নন অ্যাবট
ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে রীতিমতো এক অভিশাপের নাম কোলপ্যাক। দেশটির অনেক মেধাবী খেলোয়াড়কে হারাতে হয়েছে এ চুক্তির কারণে। সাধারণত বাইশ গজে কাটানো নিজেদের সেরা সময়ে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দলগুলোর সঙ্গে কোলপ্যাক চুক্তি করেন খেলোয়াড়রা। তেমনি একটি চুক্তিতে দেশ ছেড়েছিলেন কাইল অ্যাবট। চুক্তি শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরেও অনুতাপ নেই এই প্রোটিয়া পেসারের।
সব খেলোয়াড়ই নিজেদের ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চান। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর যেন অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে না পড়তে হয় সেই নিশ্চয়তা চান প্রতিটি খেলোয়াড়। জাতীয় দলের হয়ে খেলে খুব বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোর খেলোয়াড়দের।
বিজ্ঞাপন
তবে উইন্ডিজের খেলোয়াড়রা চাইলেই বোর্ডের ডাক উপেক্ষা করে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যতে পারেন। তবে সেই সুযোগ নেই প্রোটিয়া ক্রিকেটে। এজন্য অনেকেই জড়িয়ে পড়েন কোলপাকের মতো অভিশপ্ত চুক্তিতে।
কোলপ্যাক চুক্তি মূলত, অ-ইউরোপীয় ক্রিকেটারদের ইউরোপের নাগরিকত্ব দিয়ে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে খেলানোর একটি প্রক্রিয়া। ইংলিশ ক্রিকেটে নিয়মিত খেলা আর কাড়ি কাড়ি টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তার লোভে অনেক ক্রিকেটারই নিজ দেশকে বিদায় জানিয়ে বেছে নেন কোলপ্যাক। এক্ষেত্রে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা।
বিজ্ঞাপন
তবে চাইলে কোলপ্যাক বাদ দিয়ে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন তারা। কোলপ্যাকে খেললে যে দেশ থেকে ক্রিকেটার গেছেন, সে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলতে পারবেন। তবে শর্ত হচ্ছে- খেলতে হবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মৌসুম ছাড়া অন্য সময়।
কোলপাক চুক্তি করে নিজেদের সেরা সময়ে প্রোটিয়া শিবির ছেড়েছেন; মর্নে মরকেল, ডোয়াইন অলিভার, রাইলে রুশো, ডেভিড ভিসে, স্টিয়ান ভন জিল, কলিন ইনগ্রাম, হিনো কুহন, সাইমন হারমার, হার্দুস ভিলজয়েস, কাইল অ্যাবটের মতো ক্রিকেটাররা।
গত ৩১ ডিসেম্বর কোলপ্যাক নিয়ম বাতিল হয়েছে ব্রেক্সিটের কারণে। ফলে চুক্তি হারিয়ে নিজ দেশে ফিরেছেন অ্যাবট। এখন তার সামনে সুযোগ দেশের হয়ে আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর। তবে আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ফিরলেও এখনই জাতীয় দলের খেলার ইচ্ছে নেই তার। এজন্য অনুতপ্তও নন ৩৩ বছর বয়সী পেসার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অ্যাবট জানিয়েছেন, ‘আমি এখনই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে প্রস্তত নই। শেষ বছরটি বেশ কঠিন সময় ছিল, খুব বেশি মাঠে নামার সুযোগ হয়নি। পেশাদার কাজে ফেরাটাই আপাতত লক্ষ্য। কোলপ্যাক বন্ধ হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের এখানে ধরে রাখা সহজ হবে। আমি ফিরছি, কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের কাছে আমি ঋণী।’
অ্যাবট আরো বলেন, ‘কোলপ্যাকে যাওয়া সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। আমাদের ইংল্যান্ডের অনেক দর্শক চাইতেন না। আমরা সেখানেও ছিলাম বহিরাগত, দক্ষিণ আফ্রিকায়ও একরকম বহিরাগত ছিলাম। তবে যা করেছি তার জন্য অনুতপ্ত নই।’
টিআইএস/এনইউ