ছবি: সংগৃহীত

ব্রিসবেন টেস্টের আগে কঠোর কোয়ারেন্টিন নিয়ে কানাঘুষা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। শুধু বাকি ছিলো আনুষ্ঠানিক বার্তা চালাচালি। সেটাও শেষমেশ হয়ে গেছে। কঠোর কোয়ারেন্টিন মানতে হলে ব্রিসবেন যাবে না ভারত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ভারত।
আগামী ১৫ থেকে ১৯ জানুয়ারি ব্রিসবেন টেস্ট দিয়ে প্রায় দুই মাস দীর্ঘ সিরিজটি শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কুইন্সল্যান্ডে বহিরাগতদের জন্যে কঠোর করোনা নীতিমালা অনুসারে কোয়ারেন্টিন মানা নিয়েই বাঁধে বিপত্তি। 

বিসিসিআইয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র ধরে ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখার আগে-পরে দুই দফা কঠোর কোয়ারেন্টিন মানার পরেও কুইন্সল্যান্ডের চাপিয়ে দেয়া কোয়ারেন্টিন নীতিমালাকে অবান্তর হিসেবে দেখছে ভারত। এমনকি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে দেয়া চিঠিতেও উল্লেখ করা হয়েছে ব্যাপারটা।
ক্রিকইনফোর সূত্রটি আরও জানাচ্ছেন¸ পুরো অস্ট্রেলিয়াতেই খুব বেশি বিধিনিষেধের বালাই নেই। সেখানে খেলোয়াড়দেরকেই শুধু হোটেল রুমে আটকে রাখার জন্যে কুইন্সল্যান্ড সরকারের শর্তটা ঠিক মানায় না।

চলতি টেস্টের ভেন্যু সিডনিতে জীবনযাত্রা যদিও স্বাভাবিক নয়, তবু খেলোয়াড়রা যেখানে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থাকছেন তার থেকে বেশ স্বাধীন। নর্দান বিচের কাছে লকডাউন আছে, সেখানে সম্প্রতি করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছিল। তবে এর বাইরে নাগরিকরা চলাফেরা করতে পারছেন স্বাধীনভাবেই। 
এরপরও খেলোয়াড়দেরকে রাখা হয়েছে একটু বাড়তি সতর্কতায়, কারণ পরের টেস্ট যেখানে মাঠে গড়ানোর কথা, সেই ব্রিসবেনে বৃহত্তর সিডনিকে দেখা হচ্ছে হটস্পট হিসেবে। রোহিত, অজিঙ্কাদের যেতে দেয়া হচ্ছে না হোটেলের বাইরেই। এমন পরিস্থিতিতে হাঁপিয়ে উঠেছেন খেলোয়াড়রা। 
এ অবস্থায় শেষ টেস্টটাও সিডনিতেই খেলতে আগ্রহী ভারত। বিসিসিআই জানিয়েছে, ‘এটা ইতোমধ্যেই বেশ কঠিন এক মুহূর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে খেলোয়াড়দের জন্যে। সেখান থেকে ব্রিসবেনে সফর করা, পাঁচ দিনের জন্যে জেলে থাকা, এসব ব্যাপার আবারও করাটা বেশ ক্লান্তিকর হয়ে উঠবে দলের জন্যে।’

এনইউ