৪৩ দিন পর ঢাকায় জেমি ডে
জেমি ডে/ফাইল ছবি
গত মাসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের পরই দেশে চলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। ৪৩ দিনের সে ছুটি কাটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে পা রেখেছেন তিনি। তবে নিয়ম মেনে এখন তাকে মানতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন।
২ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের জন্য কাতারের দোহার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন বাংলাদেশ ফুটবল দলের ব্রিটিশ হেড কোচ জেমি ডে। ম্যাচ শেষ করে দোহা থেকেই লন্ডন গিয়েছিলেন জেমি। বড় দিন, নতুন বছর ও ব্যক্তিগত ছুটি কাটিয়ে প্রায় দেড় মাস পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় এসেছেন জাতীয় দলের হেড কোচ। বাফুফের প্রটোকল অফিসার ইমরান আহমেদ তুষার বলেন, ‘জেমি ডে’র দুপুর ১২ টায় নামার কথা। নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ আগেই তিনি নেমেছেন। সুস্থ এবং স্বাভাবিক রয়েছেন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে আমরা তাকে হোটেলে নিয়ে যাচ্ছি।’
বিজ্ঞাপন
বৃটিশ নাগরিক ও ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি ঢাকায় আসায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি অনুযায়ী জেমি ডে’কে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ইংল্যান্ড থেকে আগতদের সরকার নির্ধারিত হোটেলেই থাকতে হয়। বাফুফে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে বিশেষ আলোচনা করে বাফুফে ভবনের নিকটস্থ হোটেলে রাখছে বিদেশি কোচিং স্টাফদের।
৭ জানুয়ারি ইংল্যান্ড থেকে ঢাকায় এসেছেন জেমি ডে’র সহকারি স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস। তিনি এখনো হোটেলে কোয়ারেন্টিনেই রয়েছেন। জেমি ডে’ও একই হোটেলে অবস্থান করবেন।
বিজ্ঞাপন
কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত টিভিতে ও অনলাইনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ম্যাচগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন জেমি ডে ও স্টুয়ার্ট।
দোহা থেকে সরাসরি লন্ডন যাওয়ায় বাফুফে কিছুটা নাখোশ ছিল জেমি’র উপর। কিছু গণমাধ্যমে প্রচারও হয় জেমি ডে’কে বরখাস্ত করতে যাচ্ছে। তবে বাফুফে ও জেমি উভয় পক্ষ এটিকে গুজব বলেছিল। শেষ পর্যন্ত গুজব উড়িয়ে দিয়ে জেমি ডে তার শিষ্যদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকায় এসেছেন।
জেমি ডে’র সঙ্গে আরো দেড় বছরের চুক্তি রয়েছে বাফুফের।
এজেড/এটি/এনইউ