ছবি : সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলে ছিঁটেফোটা যতটুকু সাফল্য এর প্রায় পুরোটাই নারী ফুটবলে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নারী ফুটবল উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নারী ফুটবলারদের জন্য গোলরক্ষক কোচ ও সাইকোথেরাপিস্ট নিয়োগ দিয়েছে। 

গোলরক্ষক কোচ হিসেবে কাজ করবেন সেলিম মিয়া বাবু ও সাইকোথেরাপিস্ট হিসেবে লাইজু ইয়াসমিন লিপা। তারা দু’জনই বসুন্ধরা কিংস নারী দলের সঙ্গে ছিলেন। বসুন্ধরা কিংস নারী ফুটবল লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। 

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ তাদের নিয়োগ সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা নারী ফুটবলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও ভালো অবস্থানে দেখতে চাই। এজন্য বিশেষজ্ঞ কোচের প্রয়োজন। গোলরক্ষক কোচ হিসেবে ইতোমধ্যে সেলিম মিয়া নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন পাশাপাশি সাইকোথেরাপিস্ট হিসেবে লিপিও ভালো কাজ করেছে।’

দীর্ঘদিন যাবৎ গোলাম রব্বানী ছোটনের সহকারি মাহবুবুর রহমান লিটু গোলরক্ষকদের অনুশীলন করিয়ে আসছিলেন। পুরুষ দলে গোলরক্ষকদের জন্য আলাদা কোচ থাকলেও নারী দলেও লিটু সহকারির পাশাপাশি গোলরক্ষকদের কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। 

এখন থেকে সাবিনা-কৃষ্ণারা বিশেষজ্ঞ গোলরক্ষক কোচ পাচ্ছেন। নতুন দায়িত্ব পেয়ে সেলিম মিয়া উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে বলেন, ‘এতদিন ক্লাব পর্যায়ে কোচিং করিয়েছি। এখন সরাসরি জাতীয় দল ও অনুর্ধ্ব দল নিয়ে কাজ করব। আমার জ্ঞানের সবটুকু উজাড় করে শিষ্যদের শেখানোর চেষ্টা করব।’ 

সেলিম মিয়া বাবু একজন সাবেক ফুটবলার। অবসরের পর কোচিং পেশায় আসেন। গোলরক্ষক কোচিং কোর্স করেছেন কয়েকটি। 
টেকনিক্যাল উন্নয়নের পাশাপাশি মেডিডেকশনের দিকেও নজর দিয়েছে বাফুফে। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীরা অনেক সমস্যার দিয়ে দিন অতিবাহিত করেন। 

শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগেন অনেক। সাইকোথেরাপিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে নারী ফুটবলারদের সেই সমস্যাগুলোতেও কিছুটা কাজে আসবে। সেলিম মিয়া ও লিপির বাফুফের সাথে এক বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

নারী ফুটবলে দুই জন নতুন স্টাফ পেয়ে খুশি কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও,‌ ‘‌কোচিং স্টাফ যত বাড়বে, কাজের মানও তত বাড়বে। আশা করি নারী ফুটবলারদের মান আরো বৃদ্ধি পাবে।’
 
এজেড/এমএইচ