কার্যত বাংলাদেশ দলে শেষ হয়ে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজা অধ্যায়। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে অন্য দুই ফরম্যাটকে এখনো বিদায় বলেননি। জাতীয় দলে ব্রাত্য সাবেক এই অধিনায়ক এখনো টিকিয়ে রেখেছেন মাঠের ক্রিকেটের চর্চা। সময়-সুযোগ মিলিয়ে খেলেন সীমিত ওভারের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। বর্তমানে সংসদ সদস্য মাশরাফির রাজনীতিতেই পূর্ণ মনোযোগ। সঙ্গে জাতীয় দল নিয়ে ভালোমন্দ কথা বলেন সংবাদমাধ্যমে।

রোববার (২ জানুয়ারি) ঢাকায় হয়ে যাওয়া আইজিপি কাপ যুব কাবাডির ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন মাশরাফি। সেখানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানালেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই ক্ষতির কারণ হয়েছে তরুণ ক্রিকেটারদের। উদাহরণ দিতে গিয়ে টানলেন ‘পঞ্চপাণ্ডব’ আর সাকিব আল হাসানের উদাহরণ। বললেন, সাকিব ছাড়া সবাই কষ্ট করে একটা পর্যায়ে এসেছে।

মাশরাফি বলছিলেন, ‘তামিমকে দেখেন, আমাকে দেখেন, সাকিব মেবি ডিফরেন্ট কেইস, মুশফিককে দেখেন, তারা কিন্তু আর্লি ক্যারিয়ারে বাদ পড়েছে। হয়ত তামিম পড়েনি, তবে আজকের তামিম ইকবাল ছিল না। সাকিব ছাড়া সবাই কষ্ট করে একটা পর্যায়ে এসেছে। তো এখন যেটা হয়, আসলেই সবাই পারফরম্যান্স চায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এত সহজ না যে আপনি এসেই পারফরম্যান্স করতে পারবেন বা হবে।’

সঙ্গে যোগ করেন মাশরাফি, ‘যে পাঁচ জনের (পঞ্চপাণ্ডব) কথা বলছেন, আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে আমাদের সময় সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। আপনি যদি আমাদের আর্লি ক্যারিয়ার দেখেন, তখন যদি সোশ্যাল মিডিয়া থাকত আমরা এতদূর খেলতে পারতাম না। যখন একজন ইয়াং প্লেয়ার পারফর্ম করতে না পারে, তখন চারদিক থেকে অ্যাটাক করা হলে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এখানে (অ্যাটাক না করে) আমাদের সাপোর্টটা খুব প্রয়োজন।’

বর্তমান সময়ে তরুণ ক্রিকেটাররা সামর্থ্যের ছাপ রাখতে পারছেন না। জাতীয় দলে ঢুকে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, শামীম পাটোয়ারির মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা। এর পিছনে বোর্ডের দায় দেখছেন মাশরাফি।

সমাধানের প্রসঙ্গ টেনে মাশরাফির ব্যাখ্যা, ‘আমি আগেও বলেছি, যাকে নেয়া হবে তাকে লং টাইম সুযোগ দেয়া। যেমন- নতুন একজন প্লেয়ার নিয়ে তাকে দুই বা তিন টেস্টে রান করছে না বলে ছেঁটে ফেলা যাবে না। যেমন- জয় এখন রান করল, পরবর্তী পাঁচ ম্যাচে রান নাও করতে পারে। বাট যখন আপনি কোনো প্লেয়ারকে নেবেন তখন শিওর করতে হবে যে, সে আমার ভবিষ্যৎ। তাকে লম্বা সময় দেখব। নেওয়ার আগে চিন্তা করা বেশি জরুরি।’

টিআইএস/এইচকে