রাউলপিণ্ডিতে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের উইকেট নিয়ে আলোচনা থামছেই না। এই পিচকে ‘মৃত’ বলেছিলেন স্টিভেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের দাবি ছিল, পেসারদের ঠেকাতে এমন উইকেট বানিয়েছে পাকিস্তান। আইসিসিও ঘোষণা করেছে ‘বিলো এভারেজ’ হিসেবে।

পুরো ম্যাচে কেবল ১৪ উইকেট গিয়েছে দুই দল মিলিয়ে। পাঁচদিন খেলার পর এমন ফলাফলে হতাশ সবাই। রাউলপিণ্ডি টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন ইমাম উল হক। তিনি বলছেন, অস্ট্রেলিয়াতে গেলে তারাও নিজেদের মতো করেই উইকেট বানায়। যদিও করাচি টেস্টে ফল দেখতে চান ইমাম।

ইমাম উল হক বলেছেন, ‘ড্র এমন কিছু যেটা কেউ চায় না। অবশ্যই পাঁচদিনের টেস্টে সবাই ফল চায়। কিন্তু আমরা যখন অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে যাই, আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করে উইকেট বানায় না। তারা নিজেদের মতো করে উইকেট বানায়। তো আমার মনে হয়, আমাদেরও নিজেদের শক্তির জায়গা দেখতে হবে।’

নিজেকে নিয়ে সমালোচনার ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘দলে আমার বারবার বদলানো ব্যাটিং পজিশন, আমি পারফর্ম করি অথবা না করি, সমালোচনা হবেই। প্রায় ৫ বছর ও ৬০ ম্যাচ খেলে ফেলেছি পাকিস্তানের হয়ে, এখনও সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু আমি এতে কষ্ট পাই না কারণ এটা আমার জন্য খুবই স্বাভাবিক।’

‘আমার কাজ হচ্ছে রান করা আর ইনিংসের মান ঠিক হবে আমার চেষ্টাকে ভিত্তি করে। আমার জন্য, আমার অধিনায়ক, কোচ ও ম্যানেজম্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ। তারা আমার কাছে কী চায়, কীভাবে আমার ইনিংসকে মূল্যায়ন করে এসব। বাইরের কেউ কী বলল অথবা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। আমি ওসবকে পাত্তা দেই না।’

‘আমি কিউরেটরকে বলিনি আমার মতো করে পিচ বানাতে, সে আমার আত্মীয়ও না। এই উইকেট অস্ট্রেলিয়ার জন্যও ছিল, কিন্তু তাদের ১০ উইকেট নিয়েছি আমরা, কেউ সেঞ্চুরিও করতে পারেনি। আমি এমন পিচের কথা বলব না যেন আমি প্রতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারি। করাচির পিচ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের মতোই থাকবে, আর আমি এখানে প্রথম খেলবো না।’

এমএইচ