জশ বাটলার কি ক্রিকেট বলকে আজ ফুটবল দেখতে শুরু করেছিলেন কি না কে জানে! দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলারদের তিনি যেভাবে মারলেন, এমন মনে হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। যেদিকে বল গেল, যেভাবেই গেল, বাটলারের যেন কিছুই আসে যায়নি তাতে। 

মেরে মেরে দিল্লির বোলারদের রীতিমতো ভূতই বানিয়ে দিয়েছেন ইংলিশ তারকা। বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান খেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসে, তিনিও বাদ যাননি। তবে দলের বাকি বোলারদের তুলনায় মুস্তাফিজই ভালো বোলিং করেছেন। শেষে তো পেয়েছেন বাটলারের উইকেটও!

তাতে যে রাজস্থানের রান কিছুটা হলেও কমেছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। শেষ অবধিও অবশ্য কম রান তুলেনি তারা। এবারের আসরে বাটলারের তৃতীয় সেঞ্চুরির ম্যাচে ২২২ রান করেছে রাজস্থান। বাটলার এই সেঞ্চুরিতে কীর্তি গড়েছেন আরও একটি। আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আট ইনিংসের ভেতর তিনি পেলেন চতুর্থ সেঞ্চুরি।

অথচ প্রথম ওভারে বাটলারকে বেশ ভুগতেই দেখা গিয়েছিল। খলিল আহমেদের আউট সুইং বুঝে উঠতে পারছিলেন না। যদিও ওই ওভারে দুটো বাউন্ডারি পেয়ে গিয়েছিলেন সৌভাগ্যক্রমে। এরপর যতই সময় গেল, বাটলার হয়ে উঠলেন ভয়ঙ্কর।

অনেকটা বেসবলের মতো করেও বলকে সীমানা ছাড়া করেছেন। বাংলাদেশের মুস্তাফিজ রান দিয়েছেন বটে, তবে দিল্লির দিনের সেরা বোলার তিনিই ছিলেন। ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। রাজস্থানের যে দুই উইকেট গেছে, তার আরেকটা পাওয়া খলিল আহমেদ ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৭ রান।