ক্যান্সার আক্রান্ত মাকে বাঁচাতে ক্রিকেটে ফিরতে চান শাহাদাত
তার সামর্থ্য ছিল সবসময়। ঝাঁকড়া চুল আর আগ্রাসী মনোভাবে ব্যাটসম্যানদের বেগ পাইয়েছেন বরাবর। কিন্তু আচরণগত সমস্যার কারণে শাহাদাত হোসেন রাজিব ক্যারিয়ারে ধাক্কা খেয়েছেন বারবার।
সর্বশেষ সতীর্থ ক্রিকেটার আরাফাত সানি জুনিয়রকে মারধর করে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন এক সময়ের এই তারকা পেসার। যার মধ্যে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত। তার নিষিধাজ্ঞার এখনো বছর দেড়েক বাকি।
বিজ্ঞাপন
তবে এখনই ক্রিকেটে ফিরতে চান শাহাদাত। তার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাকে বাঁচাতেই দ্রুত ক্রিকেটে ফিরতে চান এই পেসার। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে শাস্তি কমানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। যদিও এখনো বোর্ড কিছু জানায়নি তাকে।
এই ব্যাপারে ক্রিকবাজকে শাহাদাত বলেন, ‘আমি সম্প্রতি আমার নিষেধাজ্ঞা কমাতে বোর্ডের কাছে আবেদন করেছি, এখন বাকিটা তাদের ওপর নির্ভর করে। ক্রিকেট ছাড়া আমি আর কোনো কাজ করতে জানি না। আমি আমার ভুলের জন্য অনুতপ্ত। জোর দিয়ে বলেছি যে, যদি বিসিবি আমার সম্পর্কে আর কখনও কোনও ধরনের অভিযোগ পায় তাহলে আমি আমার মুখ দেখাব না।’
বিজ্ঞাপন
বিসিবি এখনো তাদের সিদ্ধান্ত না জানালেও ক্রিকেটে ফিরতে তর সইছে না শাহাদাতের। তাই তো মিরপুরে নেমে পড়েছিলেন অনুশীলনে। নেট বোলার হিসেবে অনুশীলন করতে গিয়েও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। তাকে মাঠ ছাড়তে বলেন গামিনি ডি সিলভা। তখন নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বলে জানান রাজিব।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না যে আমি বল করতে পারব না। আমি সেখানে (মিরপুর) গিয়ে নেট বোলার হিসেবে বল করছিলাম। হঠাৎ করে প্রধান কিউরেটর গামিনী আমাকে মাঠ ছেড়ে যেতে বলেছিল। যখন আমাকে মাঠ ছাড়তে বলা হয়েছিল তখন আমার চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। লর্ডস অনার্স বোর্ডে আমার নাম রাখার সুযোগ পেয়েও নেট বোলারের সঙ্গে অংশ নিতে পারিনি। এটি আমার ভাগ্যে লেখা ছিল, আমার এটি (ক্রিকেট) নিয়েই সাথেই বাঁচতে চাই।’
২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শাহাদাতের। সাদা পোশাকে ৩৮ ম্যাচ খেলে ৭২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫ উইকেট নিয়ে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লিখিয়েছেন এই পেসার। বাংলাদেশের হয়ে ৫১ ওয়ানডেতে ৪৭ ও ৬ টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এমএইচ