ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজে স্মৃতি পেছনে ফেলে সিলেটের প্রথম ম্যাচে শুরুটা খারাপ হয়নি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। প্রথমে ব্যাট করে বরিশালকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দিয়েছিল শুভাগত হোমের দল। নিহাদুজ্জামানের স্পিন জাদুতে রানটা প্রায় ডিফেন্ড করেও ফেলছিল দলটি। কিন্তু করিম জানাতের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আর জয় পাওয়া হয়নি তাদের। ৮ ম্যাচের ৬ টি হেরে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ অবস্থানে থাকছে আফিফ-শুভাগতরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুক্রবার চট্টগ্রামকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। এই জয়ে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকছে বরিশাল। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শীর্ষে থাকা সিলেট আজ হেরেও শীর্ষেই থাকছে। 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মেহেদী মারুফকে হারায় চট্টগ্রাম। ম্যাক্স ও'ডাউডের ব্যাটে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল চট্টগ্রাম, ঠিক তখনই  উন্মুক্ত চাঁদকে ফিরিয়ে দেন খালেদ আহমেদ। এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে এগোতে থাকেন ও'ডাউড। ৩৫ বলে ৩৪ রান করে বিদায় নেন এই ওপেনার।

ব্যাট হাতে তখনও অবিচল আফিফ, শাসন করে যাচ্ছিলেন বরিশাল বোলারদের। ৩৭ রানে ফিরে যান বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর অবশ্য হাল ধরেন ক্যাম্ফার। ইরফান শুক্কুরকে সঙ্গে নিয়ে একের পর এক আক্রমণ করেন সাকিবদের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম সংগ্রহ করে ১৬৮ রান। ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যাম্ফার এবং ইরফান করেন ২০ রান।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে এনামুল বিজয় এবং সাইফ হাসানের ওপেনিং জুটিতে ভালো শুরু পায় বরিশাল। ১০ রান করে সাইফ ফিরলে খানিক বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আজ ব্যাট হাতে ব্যর্থ, ৬ বল খেলে করেছেন মোটে ২ রান। মাহমুদুল্লাহ ফিরেছেন ওয়াইড বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে। 

পঞ্চম উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়েন ইফতিখার আহমেদ ও এনামুল হক। ৫০ বলে ৭৮ রান করে এনামুল ফেরেন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে বোল্ড হয়ে। ৩ রানের ব্যবধানে ফেরেন ইফতিখারও। জয়টা তখন বেশ কঠিন-ই মনে হচ্ছিল বরিশালের জন্য। কিন্তু ৮ নম্বরে নেমে করিম জানাত বদলে দেন সব হিসাব। সালমান হোসেনকে নিয়ে ২১ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। ১২ বলে ৩১ রান করে জানাত ফেরেন শেষ ওভারে। তবে তাতে জয় পেতে কষ্ট হয়নি বরিশালের। ১৪ বলে অপরাজিত ১৮ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন সালমান। 

এনইআর