উইলিয়ামস আর তিরিপানো জিম্বাবুয়ের অষ্টম উইকেটে যোগ করেন ১৮৭ রান/ছবি: ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৪৫/৪ (ডি.)
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৮৭
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৩৬৫ ফ/অ (কাসুজা ৩০, উইলিয়ামস ১৫১*, তিরিপানো ৯৫; রশিদ ১৩৭-৭)

আগের দিনে দলকে টেনে তুলেছেন নিশ্চিত ইনিংস হারের মুখ থেকে। শন উইলিয়ামস আর ডোনাল্ড তিরিপানোর প্রতিরোধটা পঞ্চম দিনেও এগিয়েছে বেশ। গড়েছে বেশ কিছু রেকর্ডও। তবু হার কড়া নাড়ছে জিম্বাবুয়ের দুয়ারে।

আগের দিনে ১৪২ রানেই নেই হয়ে গিয়েছিল ৭ উইকেট। উইলিয়ামস আর তিরিপানোর প্রতিরোধের শুরুটা সেখান থেকেই। চতুর্থ দিন যখন শেষ করছেন ইনিংস হার এড়ান হয়েই গিয়েছিল, আফগানদের দেওয়া হয়ে গিয়েছিল লিড। সেখান থেকে পঞ্চম দিনে লক্ষ্যটা ছিল যত বেশি সম্ভব সময় ধরে ব্যাট করা যায়

 সে লক্ষ্যে তিরিপানোকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়েও যাচ্ছিলেন উইলিয়ামস। তাদের ১৮৭ রানের জুটি গড়ে ফেলে বেশ কিছু রেকর্ডও। দলটির ইতিহাসে অষ্টম উইকেটে এর চেয়ে বড় জুটি আর নেই একটিও। আর যে কোনো উইকেটেও এমন জুটি খুব কমই দেখেছে জিম্বাবুয়ে। সব মিলিয়ে তিরিপানো-উইলিয়ামসের জুটির অবস্থান সপ্তম।

অষ্টম উইকেটে এমন জুটি বিশ্ব ক্রিকেটেও বিরল। তাই তো দুজনের ১৮৭ রানের এ জুটি ঢুকে গেছে অষ্টম উইকেটে টেস্ট ইতিহাসের সেরা দশ জুটিতে। ব্যক্তিগত রেকর্ডও হয়েছে তাতে। জিম্বাবুয়ের হয়ে দশে নেমে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটিও এখন তিরিপানোর দখলে। 

তবে ৯৫ রানের ইনিংসটি কিছুটা আক্ষেপও উপহার দিয়েছে তিরিপানোকে। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে। তবে এর চেয়ে বড় আক্ষেপ সম্ভবত আরও কিছুক্ষণ টিকতে না পারার ব্যর্থতা নিয়েই হবে তিরিপানোর। তার ফেরার পরই যে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ!

একপাশ আগলে উইলিয়ামস অবশ্য ছিলেন শেষ পর্যন্ত। অপরাজিত ছিলেন ১৫১ রানে। তাতে জিম্বাবুয়ের লিডটা বেড়েছে একটু। শেষমেশ জিম্বাবুয়ে ইনিংস শেষ করেছে ৩৬৫ রানে। আর আফগানিস্তানের সামনে চতুর্থ ইনিংসে ৪৬ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১০৮ রানের। প্রতিবেদনটি লেখার আগ পর্যন্ত স্বাগতিকরা এক উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৬ রান।

এনইউ /এটি