টি-টোয়েন্টি দল দেয়ার কিছুক্ষণ পরই এলো দশক সেরা ওয়ানডে একাদশ। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) টি-টোয়েন্টি একাদশে জায়গা হয়নি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের। ওয়ানডেতে জায়গা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। 

১ জানুয়ারি ২০১১ থেকে ৭ অক্টোবর ২০২০ সালের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দল গঠন করা হয়েছে। আইসিসির ভোটিং একাডেমির সাংবাদিক ও সম্প্রচারকদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে এই দল।

এই সময়টাতে ১০৪ ওয়ানডে খেলেন সাকিব। ৪০.৫৬ গড়ে ৪ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৩৪৮৯ রান। বাঁহাতি স্পিনে ৩১.৬১ গড়ে ১৩১ উইকেট নিয়েছেন।

কয়েকদিন পরই শেষ হবে চলতি দশক। এই দশকের সেরা ওয়ানডে একাদশ নিজেদের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছে আইসিসি। টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও সবচেয়ে বেশি তিনজন জায়গা পেয়েছেন ভারতের। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুইজন ও বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার একজন করে ক্রিকেটার একাদশে জায়গা পেয়েছেন। 

আইসিসির প্রকাশিত দশক সেরা ওয়ানডে একাদশে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন রোহিত শর্মা ও ডেভিড ওয়ার্নার। তিন নম্বর পজিশনে রাখা হয়েছে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আছেন সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। 

উইকেটরক্ষক হিসেবে আছেন ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দশক সেরা একাদশের অধিনায়কও এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। তার নেতৃত্বে ২০১১ বিশ্বকাপে বিশ্বকাপ জেতে ভারত।

রোববার ঘোষিত দলে অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিবের সঙ্গে রাখা হয়েছে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বেন স্টোকসকে। তিন পেসার মিচেল স্টার্ক, ট্রেন্ট বোল্ট, লাসিথ মালিঙ্গার সঙ্গে একমাত্র স্পিনার হিসেবে আছেন ইমরান তাহির। 

আইসিসির দশক সেরা ওয়ানডে একাদশ :  রোহিত শর্মা (ভারত), ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া), বিরাট কোহলি (ভারত), এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা), সাকিব আল হাসান (অলরাউন্ডার), মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড), লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা)।

এমএইচ/এটি