পাকিস্তানকে হারাতে সাত উইকেট চাই নিউজিল্যান্ডের
ছবি: সংগৃহীত
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ৪৩১ ও ১৮০/৫ (ডি.) (ল্যাথাম ৫৩, ব্লান্ডেল ৬৪; নাসিম ৫৫-৩)
পাকিস্তান: ২৩৯ ও ৭১/৩ (লক্ষ্য ৩৭৩) (আজহার ৩৪*, ফাওয়াদ ২১*; সাউদি ১৫-২)
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বড় লিড পেয়ে যাওয়ার পরই মূলত নিউজিল্যান্ড চলে গিয়েছিল চালকের আসনে। চতুর্থ দিনে স্বাগতিক ব্ল্যাকক্যাপসরা সেটাকে তো পাকাপোক্ত করেছেই, চলে এসেছে জয় থেকে সাত উইকেটের দূরত্বেও। শেষ দিনে ৩৭৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা পাকিস্তানের চাই আরও ৩০২ রান।
বিজ্ঞাপন
১৯২ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড চা বিরতির একটু আগে ইনিংস ঘোষণা করে। তার আগে টম ল্যাথাম আর থমাস ব্লান্ডেলের অর্ধশতকের কল্যাণে লিডটা পৌঁছে গেছে ৩৭২ রানে। ৫৫ রান খরচায় নাসিম শাহ পান ৩টি উইকেট।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের উইকেটে শেষ ইনিংসে ৩৭৩ রান তাড়া করে জেতা সহজ নয়। তাই ড্রটাকেই ধরা হচ্ছিল বাস্তবসম্মত লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল নিখুঁত একটা শুরু। সেটা করবে কি, সফরকারীরা চা বিরতির আগি খুইয়ে বসে দুই ওপেনারকে।
বিজ্ঞাপন
ট্রেন্ট বোল্টের দারুণ এক বলে প্যাভিলিয়নমুখো হন আবিদ আলি। শান মাসুদ আউট হন সাউদির শিকার বনে। পাকিস্তান দুই উইকেট হারায় চা বিরতির আগেই। ক্ষতিটা পোষানোর একটা চেষ্টা করেছিলেন আজহার আলি ও হারিস সোহেল মিলে। তবে হারিসের প্রতিরোধ ভাঙে সাউদির দ্বিতীয় স্পেলে। সাউদির দারুণ এক সেটআপের শিকারে যখন হারিস ফিরছেন, দলের সংগ্রহ তখন মোটে ৩৭!
তবে রানের চেয়ে উইকেট ধরে রাখাটাই এ মুহূর্তে পাকিস্তানের জন্যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটা বুঝতে পেরেই হয়তো, দিনের শেষভাগে আর রান করায় মনোযোগ দেয়নি আজহার ও ফাওয়াদ আলমের জুটি। ১১৭ বল খেলে আজহার করেছেন ৩৪, আর ৫৫ বল খেলে ফাওয়াদ করেছেন ২১ রান। ১২২ বলে দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৩৪ রানের জুটিতে ৩ উইকেটে ৭১ রান নিয়ে দিন শেষ করে পাকিস্তান। শেষ দিনে সফরকারীদের ড্রয়ের আশাটা যে এই জুটির টিকে থাকার উপরই নির্ভর করবে তা বলাই বাহুল্য!
এনইউ