লকডাউন, ফ্লাইট জটিলতায় ঢাকা আবাহনীকে এএফসি কাপ থেকে বাদই দিয়েছে এএফসি। আবাহনী প্লে অফ খেলতে না পারলেও বসুন্ধরা কিংস সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। ১৪-২০ মে মালদ্বীপের মালেতে হবে চূড়ান্ত পর্ব। সেই পর্বের আগেও তৈরি হয়েছে অনেক অনিশ্চয়তা এবং সংকট।

মালদ্বীপের সাবেক রাষ্ট্রপতি বোমা হামলায় আহত হয়েছেন গতকাল। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এএফসি কাপের ম্যাচগুলোও হবে রাতে। সব বিবেচনায় মালদ্বীপ ফুটবল ফেডারেশন এএফসিকে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে স্বাগতিকদের এই আবদারে সায় দেয়নি এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

১১ মে ভারতের বেঙ্গালুরু ও মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের প্লে অফ ম্যাচ রয়েছে। সেই ম্যাচ খেলতে আজ (শুক্রবার) বেঙ্গালুরু মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বেঙ্গালুরু গোয়া থেকে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে গেলেও চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিতকারী দল অ্যাথলেটিকো মোহনবাগান ছন্নছাড়া অবস্থায়। তাদের বিদেশি ফুটবলাররা এখনো যোগ দেয়নি। পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পও শুরু হয়নি। ভারতের ক্লাব অ্যাথলেটিকো মোহনবাগান চেয়েছিল টুর্নামেন্টটি পেছাতে। তারা এএফসি ও স্বাগতিকদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাও করেছে। স্বাগতিক মালদ্বীপ তখন টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রস্তুত থাকায় তারা সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।

মালদ্বীপের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এতে মালদ্বীপ ফুটবল ফেডারেশনও এএফসিকে বিষয়টি জানিয়েছিল গত পরশু দিন। কিন্তু ততদিনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর টিকিট, হোটেল সব কনফার্ম হয়ে গেছে। এজন্য এএফসি টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই রয়েছে।

মোহনবাগানের কর্মকর্তা রোহিত কাটিয়াল বলেন, ‘আমরা ১০ মে মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হবো। আমাদের সকল টিকিট ও হোটেল বুকিং সম্পন্ন। বেঙ্গালুরু আজই যাচ্ছে।’ বাংলাদেশের দল বসুন্ধরা কিংস আগামী পরশু দিন রওনা হবে মালদ্বীপের উদ্দেশে। দলগুলো মালদ্বীপ পৌঁছে যাওয়ার পর আর টুর্নামেন্ট পেছানোর সুযোগ থাকছে না। 

গত বছর করোনাভাইরাসের জন্য এএফসি কাপ বাতিল হয়েছিল। এই বছর করোনা ভাইরাসের জন্য গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের পরিবর্তে খেলা হবে সেন্ট্রাল ভেন্যুতে। সেই সেন্ট্রাল ভেন্যুতে খেলা পরিচালনার ক্ষেত্রেও করোনা বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এএফসি কাপে সাউথ এশিয়ান জোন থেকে চ্যাম্পিয়ন দল পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে। 

এজেড/এমএইচ