করোনারভাইরাস জীবনের চিত্রই যেন বদলে দিয়েছে। গোটা বিশ্বকে নতুন এক চ্যালেঞ্জের সামনে এনে দাঁড় করেছে। অদৃশ্য এই ভাইরাসের কারণে কিছুদিন আগে নিজের খালাকে হারিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস। তখন অবশ্য দেশে ছিলেন না তিনি। জাতীয় দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করছিলেন। এবার ঈদে দেশে থাকলেও ঘরবন্দি কাটছে নাফিসের সময়।

মহামারির সময়ে নিজের ঈদ পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে ঢাকা পোস্টকে নাফিস বলেন, ‘এবার ঢাকাতেই ঈদ করছি। গত ঈদে তো মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে যেতে পারিনি, বাসার ছাদেই জামাতের ব্যবস্থা করেছিলাম। শ্রীলঙ্কা থেকে আসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে হোম কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া ছিল, সেটি কাটিয়ে উঠলাম। শুধু নামাজটা পড়তে মসজিদে গেলাম।’

নাফিস আরও যোগ করেন, ‘চেষ্টা করব মহামারীর এই সময়টা যতটা সম্ভব নিজেকে সচেতন রেখে পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত রেখে ঈদটা পালন করা যায়। আপনারা জানেন ঈদের পরপরই শ্রীলঙ্কা দল চলে আসবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য, এজন্য অফিসের ব্যস্ততা বেড়ে যাবে।’

বড় বোনের মৃত্যু সংবাদ আমেরিকা থেকে পেয়েছেন নাফিসের মা সালমা আনজুম লতা। করোনাভাইরাসের কারণে সে সময় বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় দেশে আসতে পারেননি তিনি। এবার ঈদেও আসতে পারছেন না। এবারের ঈদও স্ত্রী আর ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে কাটবে নাফিসের। তবে বাইরে বা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই।

কিছুদিন আগেই খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন নাফিস। বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ম্যানেজারের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এখন সেদিকেই ধ্যান-জ্ঞান তার।

নতুন পেশাকে কিভাবে দেখছেন নাফিস? জানালেন, ‘আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এখন যে দায়িত্বে আছি আমার কাজ হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দল এবং এর আশেপাশের যত ক্রিকেটার আছে, তাদের সুযোগ-সুবিধা, তাদের ভালো-মন্দ এসব নিশ্চিত করা।‌ যাতে ক্রিকেটাররা মাঠে ভালো করতে পারে। আগে যখন আমি মাঠে খেলতাম, তখন আমার সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করতাম। এখন যে দায়িত্বে আছি, এখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট যা কিছু আছে সব জায়গায় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

টিআইএস/এটি